সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনসঙ্গী চলে গিয়েছিল এক বছর আগে। বেদনা বুকে চেপে সে পথেই পাড়ি দিল বু। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘হৃদয়েশ্বরী’কে হারিয়ে একটু একটু করে ভেঙে যাচ্ছিল বু-র হৃদয়। নানা সমস্যা দেখা গিয়েছিল। এসব সামলে আর পৃথিবীতে একলা থাকতে চায়নি বু। নতুন বছরের শুরুর দিকে সেও চলে গেল। আর নেটদুনিয়া ভেসে গেল বু-র আত্মার শান্তিকামী মানুষজনের রাশি রাশি বার্তায়।
[বন্ধু চিনকে চুল বেচে কোটিপতি পাকিস্তান!]
ও, বু-র পরিচয়ই তো দেওয়া হয়নি। পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি সারমেয়র মুকুট উঠেছে যার মাথায়, সে-ই বু। জাতে পমেরানিয়ান। সাদা, সোনালি তুলতুলে লোমে ঢাকা একটা ছোট্ট শরীর। আর পুঁতির মতো দুটো কালো চোখ – কী যে মায়াময়! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জলহাওয়ায় বেড়ে ওঠা বু কাটিয়ে গেল ১২টা বছর। বু-র জনপ্রিয়তার কথা যত বলা হবে, ততই যেন কম। ২০১১ সালে ভার্জিন আমেরিকার পেট লিয়াঁজোয় ‘ওয়ার্ল্ডস কিউটেস্ট ডগ’ তকমা পাওয়ার পর থেকে জনপ্রিয়তা হু হু করে বাড়তে থাকে এই পমেরানিয়ান কুকুরের। সোশ্যাল সাইটে শুধু বু-র জন্যেই তৈরি হয় পাতার পর পাতা। যেখানে বু-র একটি ছবি দেওয়ামাত্রই লাইক, শেয়ারের বন্যা। রীতিমতো সেলিব্রিটি বু-কে নিয়ে আর্থিক প্রতিযোগিতাও কিছু কম ছিল না। বহু ধনকুবের মিষ্টি কুকুরটিকে নিজের সম্পত্তি হিসেবে পেতে চেয়েছিলেন। ব্যর্থ হয়েছেন। বু তাঁর শৈশবের অভিভাবক আইরিন আহানকে ছেড়ে কোত্থাও যায়নি। ফি বছর শুধু বু-র ছবি থেকেই ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে।
তার সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল বাডি। দু’টিতে মিলে পেট লাভারদের ‘প্রাণ’ হয়ে উঠেছিল। ২০১৭ সালে বাডি চলে যায় বু-কে ছেড়ে। তারপর থেকেই সে একটু একটু করে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়ছিল। হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়। খাওয়াদাওয়া প্রায় ছেড়ে দেয়। যাবতীয় খেলা, খুনসুটিতে আর দেখা যেত না বু-কে। কীভাবেই বা দেখা যাবে? চিরসখাই যে চলে গিয়েছে হাত ছেড়ে। ধীরে ধীরে জীবনের প্রতি আকর্ষণ হারাচ্ছিল। তারপর সব মায়া কাটিয়ে বু চলে গেল। তার অভিভাবকরা মনে করছেন, বাডির দেশেই গিয়েছে বু। সেখানেই ফের দু’টিতে জুটি বেঁধে আনন্দে কাটাবে পরবর্তী জীবন। তবে তার প্রতি পশুপ্রেমীদের মায়া কাটার নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ভরে উঠেছে শুভানুধ্যায়ীদের মনখারাপের বার্তায়। সকলের প্রার্থনা – ভাল থেকো বু।
The post মায়া কাটিয়ে চলে গেল পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি সারমেয় appeared first on Sangbad Pratidin.