সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদে (Hyderabad) অনার কিলিংয়ে (Honour Killing) দলিত যুবকের খুন হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। তাঁর কথায়, “এই ঘটনা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম অপরাধ।” যদিও ঘটনাটিকে রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে অন্য রং দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ওয়েইসি।
গত বুধবার দক্ষিণ ভারতের একটি অনার কিলিংয়ের নৃশংসতায় চমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। ভালবেসে এক মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন বছর পচিশের দলিত যুবক বি নাগারাজু (B Nagaraju)। ভিন ধর্মে বিয়ে করার দোষে নাগারাজুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করে তাঁর স্ত্রীর দুই ভাই। এই ঘটনা নিয়েই এদিন মুখ খোলেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর বক্তব্য, অন্য রং দেওয়ার চেষ্টা চলছে ঘটনাটিকে। ওয়েইসি বলেন, “নাগারাজুর খুনের ঘটনা ইসলাম বিরোধী। মেয়েটি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছিলেন, আইনি স্বীকৃতিও ছিল। বোনের স্বামীকে খুন করার কোনও অধিকার নেই ভাইয়ের। যা হয়েছে তা অপরাধমূলক কাজ। ইসলামের দৃষ্টিতেও জঘন্যতম অপরাধ।”
[আরও পড়ুন: মাথায় ঋণের বোঝা, শেষ সম্বলও হারাল IPL-এর বেটিংয়ে, আত্মহত্যা মা ও ছেলের]
উল্লেখ্য, ভয়ংকর খুনের ঘটনাটি ঘটে হায়দরাবাদের সারুরনগর এলাকায়। মৃত নাগারাজু একটি গাড়ির শো-রুমে সেলসম্যানের কাজ করতেন। বুধবার রাত ন’টা নাগাদ বাইকে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় নাগারাজুকে পিটিয়ে ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত নাগারাজুর স্ত্রী আসরিন সুলতানার দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: দেশে ফেরাতে হবে সনাতন ধর্মের দিন, বললেন কেরলের রাজ্য়পাল আরিফ খান]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে একটি মন্দিরে বিয়ে করেন নাগারাজু-আসরিন। এরপর থেকেই নাসরিনের ভাইয়েরা তাঁদের খুনের হুমকি দিচ্ছিল। যদিও নাগারাজু নিজের থেকেও বেশি চিন্তিত ছিলেন স্ত্রীকে নিয়ে। যে কারণে কর্মস্থলে যাওয়ার আগে স্ত্রীকে বোনের বাড়িতে রেখে আসতেন। নাগারাজু যে গাড়ির শো-রুমে কাজ করতেন, সেখানকার এইচআর ম্যানেজার শনিবার জানান, স্ত্রীর ইদের কেনাকাটার জন্য নিজের সোনার চেন বেচে দিয়েছিলেন নিহত যুবক। সেই যুবককেই খুন হতে হয়েছে ভিন ধর্মে বিয়ে করার দোষে।