সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ভারতে থাকলে নোবেল পেতাম না।” বিস্ফোরক মন্তব্য নোবেল জয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ৭১তম সাধারণতন্ত্র দিবসে তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে যথারীতি বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
অর্মত্য সেনের পর ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পান ফের এক বাঙালি। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র দূরীকরণের জন্য বিরল গবেষণা করে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী এসথার ডাফলো ও মাইকেল ক্রেমার। গত দু’দশক ধরে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য নিরলস গবেষণা করছেন তাঁরা তিনজন। তাঁদের নতুন পরীক্ষা-ভিত্তিক পদ্ধতির জন্য অনেক পরিবর্তন এসেছে উন্নয়নের অর্থনীতিতে। এর মাধ্যমে গবেষণার নতুন-নতুন দিক খুলে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৬১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পড়শোনাও কলকাতায়। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পালা সাঙ্গ করে প্রেসিডেন্সি কলেজে অর্থনীতি নিয়ে ভরতি হন। সেখান থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বি.এস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৮৩ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ পাশ করেন। ১৯৮৮ সালে পিইচডি করার জন্য ভরতি হন ইংল্যান্ডের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি আমেরিকার বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এমআইটির ফুড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
[আরও পড়ুন: দেশে পেরতে পারেননি স্কুলের গণ্ডি, চিন থেকে ডিপ্লোমা বিজেপি প্রার্থীর]
কিন্তু নোবেল পাওয়ার পর থেকেই একাধিকবার বিতর্কের মধ্যে পড়েছেন অভিজিৎবাবু। অনেকেই সেসময় কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “ভারতে থাকেন না, তাই নোবেলের শিঁকে ছিড়ল।” সমালোচকদের কটাক্ষ, স্রেফ শেতাঙ্গ না হওয়ায় একাধিকবার মনোনীত হয়ে পরও নোবেল পাননি মহাত্মা গান্ধী। এমনকী একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেও নোবেল জয়ীদের তালিকায় নাম তুলতে পারেননি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু। বিজ্ঞানের দুনিয়ায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন সত্যেন বসু, মেঘনাদ সাহা-সহ একাধিক বিজ্ঞানী। তারপরও নোবেল থেকে ব্রাত্যই রয়ে গিয়েছেন তাঁরা। সেসব কথায় অবশ্য আমল দেননি নোবেলজয়ী। তবে রবিবার মুম্বইয়ের এক সাহিত্যসভায় তাঁর করা মন্তব্য ঘিরে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দমাতে পারেনি জঙ্গিদের গুলিও, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পথ দেখিয়ে পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কাশ্মীরি যুবক]
কী বলেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ? অভিজিতের কথায়, “ভারতে যোগ্যতার অভাব নেই। কিন্তু সঠিক কার্য প্রক্রিয়া দরকার।” চলতি বছরে অর্থনীতি নিয়ে স্ত্রী এসথার ডাফলো ও মাইকেল ক্রেমার সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করে নোবেল পেয়েছেন অভিজিৎবাবু। মন্তব্যের ব্যাখা দিতে গিয়ে নোবেলজয়ীর দাবি, “সবসময় একার পক্ষে সমস্ত কাজ করা সম্ভব হয় না। সকলের সঙ্গে কাজ করলে অনেক সুবিধা হয়।” এরপরই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সমালোচকদের কটাক্ষ, “নোবেলজয়ী কি তাহলে মেনেই নিলেন, তিনি ভারতীয় নন!”
The post ‘ভারতে থাকলে নোবেল পেতাম না’, বিস্ফোরক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় appeared first on Sangbad Pratidin.