সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসে যোগ দিয়েই হরিয়ানা নির্বাচনের টিকিট পেয়েছেন কুস্তিগির ভিনেশ ফোগাট। অন্যদিকে হাত শিবিরে এসেই আরেক কুস্তিগির বজরং পুনিয়া সর্বভারতীয় কিষাণ কংগ্রেসে কার্যকরী চেয়ারম্যানের পদ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁদের পথে হাঁটতে নারাজ সাক্ষী মালিক। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কুস্তি ফেডারেশনের 'স্বচ্ছতা'র জন্যই তিনি লড়ে যাবেন।
মহিলা কুস্তিগিরদের হেনস্তার প্রতিবাদে কুস্তি ফেডারেশনের তৎকালীন প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন কুস্তিগিররা। সেই লড়াইয়ের প্রধান মুখ ছিলেন ভিনেশ, বজরং ও সাক্ষী। দিল্লির যন্তরমন্তরে ধরনা থেকে শুরু করে নতুন সংসদ ভবন অভিযান, সমস্ত ক্ষেত্রেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। প্যারিস অলিম্পিকে ফাইনালে নামতে না পারায়, 'হতাশ' ভিনেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বাকি দুজন। কিন্তু বজরং-ভিনেশ কংগ্রেসে যোগ দিলেও সেই পথে হাঁটেননি সাক্ষী।
[আরও পড়ুন: পর্তুগালের ইউরো জেতা কি বিশ্বকাপ জয়ের সমান? ৯০০ গোলের রেকর্ড গড়ে উত্তর রোনাল্ডোর]
সামনেই হরিয়ানা নির্বাচন। এদিন দুপুরে সরকারিভাবে কংগ্রেসে যোগদান করেন ভিনেশ ও বজরং। তার আগে রেলের চাকরি থেকে ইস্তফাও দেন ভিনেশ। লড়াইয়ের দুই সঙ্গীর রাজনৈতিক দলে যোগদান নিয়ে সাক্ষী বলেন, "এটা ওদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের আত্মত্যাগ করা দরকার ছিল। তার জন্য মহিলাদের বিক্ষোভকে যেন ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করা হয়। আমার তরফ থেকে বিক্ষোভ জারি থাকবে।"
[আরও পড়ুন: অশ্বিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অজি স্পিনার, বর্ডার গাভাসকর ট্রফির আগে চাপ বাড়ানোর কৌশল?]
সেই সঙ্গে রিও অলিম্পিকের পদকজয়ী আরও জানান, "রাজনৈতিক দলে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব আমার কাছেও এসেছিল। কিন্তু আমি যেটা শুরু করেছি, তার শেষ পর্যন্ত দেখতে চাই। যতদিন না ফেডারেশন স্বচ্ছ হচ্ছে এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার না থামছে, ততদিন আমি লড়াই চালিয়ে যাব।" প্যারিস থেকে ফিরে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার সঙ্গে দেখা করেছিলেন ভিনেশ। পরে লোকসভার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখাও করেন। তখন থেকেই জল্পনা বাড়তে থাকে। অবশেষে তাতে সিলমোহর পড়ল। কিন্তু সঙ্গীদের রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া নিয়ে নিজের ভিন্ন অবস্থান জানিয়ে দিলেন সাক্ষী মালিক।