মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: বড়দিনের আগে কাশ্মীরে (Kashmir) বড়সড় পাক নাশকতার ছক বানচাল। উরি সেক্টর থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করল কাশ্মীর পুলিশ ও সেনা। তাঁদের দাবি, গত দেড় বছরে এত সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়নি। বছর শেষে পর্যটকে ভরা ভূস্বর্গে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল পাকিস্তান। যৌথবাহিনীর তৎপরতায় সেই ছক ভেস্তে গেল।
নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সকালে কাশ্মীরের উরি সেক্টরে (Uri Sector) তল্লাশি চালায় যৌথবাহিনী। হাথলাঙ্গা গ্রাম থেকে ৮টি একে রাইফেল, ১২টি পিস্তল ও প্রচুর কার্তুজ উদ্ধার হয়। মিলেছে ১৪টি গ্রেনেড ও ৮১টি বেলুনও যার গায়ে পাকিস্তানি পতাকা খোদাই করা রয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ ও সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, ৮টি একে-৭৪ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ভিখারি হয়ে গিয়েছি আমরা’, রাজ্য সরকারকে বিঁধতে গিয়ে বিতর্কে দিলীপ]
সূত্রের খবর, কাশ্মীরে নাশকতা ঘটাতে লস্কর-ই-তইবা সীমান্তের এপারে অস্ত্র পাচারের চেষ্টা করছিল। কিন্তু যৌথবাহিনীর প্রচেষ্টায় তা ভেস্তে যায়। যদিও এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরে এক লস্কর জঙ্গি নেতার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল কাশ্মীরের প্রশাসন। আবদুল রশিদ ওরফে জাহাঙ্গির নামে পলাতক এই জঙ্গি নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সন্ত্রাসমূলক ষড়যন্ত্র করে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। উপত্যকার ডোডা জেলার খানপুরা গ্রামে রয়েছে ওই জঙ্গির বাড়ি। গত শনিবার সেই বাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তারপরেই লস্কর জঙ্গিদের ডেরা খুঁজে বের করে সফল অভিযান চালাল পুলিশ। সেখানে এনকাউন্টারে ৩ লস্কর জেহাদিকে খতম করে যৌথবাহিনী।