আকাশ মিশ্র: ছবির গল্প যদি হয় ভারত-পাক সম্পর্ক, তাহলে যে দুরন্ত অ্যাকশন থাকবে, তাতে আর নতুন কি? ছবির গল্পের মজ্জায় মজ্জায় যে দেশপ্রেম থাকবে, তা তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু এই দেশ প্রেম দেখাতে গিয়ে যদি গল্পের গরু গাছে ওঠে, তাহলেই মুশকিল। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিদ্ধার্থ মালহোত্রার ‘যোদ্ধা’ ঠিক এই দোষেই দুষ্ট। যেখানে গল্পের গরু শুধু গাছে নয়, উঠল উড়োজাহাজেও!
এই ছবিতে একাই একশো ‘যোদ্ধা’ সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। যিনি বন্দুকও চালাতে পারেন, প্লেনও চালাতে পারেন। তার কাছে শত্রু বিনাশ করা তো জলভাত। শুধু কী তাই, প্লেন হাইজ্যাক হলে, বিমানসেবিকাকে দিয়ে বিমানও চালিয়ে নেন। তার পর বিমান মাঝ আকাশে দুর্ঘটনার কবলে পড়লে একমাত্র ত্রাতা এই ‘যোদ্ধা’ই।
[আরও পড়ুন: নকশাল পর্ব দেখিয়েও বক্স অফিসে ‘বাস্তার’-এর মন্দা বাজার, ‘কেরালা স্টোরি’র ধারেকাছেও নেই!]
ছবির গল্পতেই গলদ। তাই পরিচালনা ও অভিনয়ও যে দুর্বল হবে, তা ছবির শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। একসময় তো মনে হচ্ছিল, ছবির অভিনেতারাও চাইছেন, ছবিটা শেষ হোক। সিদ্ধার্থ মলহোত্রার অভিনয় কম, তাঁকে শারীরিকভাবে ফিট দেখানো হয়েছে ছবিতে। কিন্তু গল্পতেই এত দম নেই যে সেখানে অভিনেতা আলাদা করে কিছু করবেন। রাশি খান্নাকেও ভালো লাগে। তাঁর চরিত্রও বেশ বলিষ্ঠ কিন্তু চিত্রনাট্যই এত হাস্যকর যে রাশিরও কিছু করার ছিল না। দিশা পাটানিকে খুবই সুন্দর লেগেছে। এছাড়া আর কিছুই করার ছিল না তাঁর। তবে খারাপ চিত্রনাট্যেও নজর কেড়েছেন সন্ত্রাসবাদীর চরিত্রে সানি হিন্দুজা।
শেষমেশ বলা যায়। যদি ভরপুর অ্যাকশন ছবি দেখতে ভালোবাসেন, তাহলে এই ছবি দেখতে পারেন। যদি সিদ্ধার্থ মালহোত্রাকে ভালোবাসেন, তাহলে এই ছবি দেখতেই পারেন। অন্যথায় ‘যোদ্ধা’ থেকে দূরে থাকাই ভালো।