সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের এনসিইআরটি’র (NCERT) উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার দাবি তুললেন যোগেন্দ্র যাদব। সেই সঙ্গে অভিযোগের আঙুল তুললেন কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের দিকে। জানালেন, তাঁর অনুরোধকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০০৬-০৭ সালে নবম থেকে দশম শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ের সিলেবাস তৈরির মুখ্য উপদেষ্টা পদে থাকা সুহাস পালসিকার ও যোগেন্দ্র যাদব (Yogendra Yadav) আগেই দাবি জানিয়েছিলেন, তাঁদের নাম পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়ার জন্য।
টুইটারে ক্ষোভ উগরে যাদব লিখেছেন, ‘এটা দেখে দুঃখ লাগল যে, এনসিইআরটি অধ্যাপক পালসিকার ও আমাকে জবাব দিয়েছে এক স্বাক্ষরবিহীন বিবৃতি দিয়ে। তার চেয়েও অসন্তোষজনক যে, আমরা যে দিকগুলো তুলে ধরেছিলাম তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।’
[আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বাদের শোনানো হবে রামায়ণ, গীতা, ‘দেশভক্ত’ সন্তান গড়তে নয়া উদ্যোগ RSS ঘনিষ্ঠ সংগঠনের]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বারবার সিলেবাস থেকে একাধিক বিষয় বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে এনসিইআরটি। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুহাস ও যোগেন্দ্র একটি চিঠি লিখেছিলেন এনসিইআরটিকে। তাঁদের লেখা চিঠিতে পরিষ্কার বলা হয়েছিল, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে কোনও টেক্সটেরই অভ্যন্তরীণ যুক্তিজাল থাকে। এভাবে নির্বিচারে সব মুছে দিলে সেই টেক্সটের নির্যাসই যেন বিঘ্নিত হয়। ক্ষমতা কাঠামোকে খুশি করা ছাড়া এর মধ্যে আমরা আর কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।’
এর উত্তর দিতে গিয়ে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের তরফে জানানো হয়, ‘আমাদের প্রাপ্ত জ্ঞান অনুসারে বলা যায়, এব্যাপারে কোনও ক্ষেত্রেই কেউ ব্যক্তিগত মালিকানা দাবি করতে পারেন না। তাই সেখান থেকে নাম প্রত্যাহার নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।’
[আরও পড়ুন: ঔরঙ্গজেবের প্রশংসা করে ভিডিও পোস্ট, মহারাষ্ট্রে ১৪ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধে FIR]
প্রসঙ্গত, এনসিইআরটি নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, স্কুল স্তর থেকেই গৈরিকীকরণে তৎপরতা শুরু করেছে মোদি সরকার। যার প্রভাব পড়ছে পাঠ্যক্রমে। বিজেপির আদর্শের সঙ্গে যে সমস্ত অধ্যায়ের খাপ খাচ্ছে না সেগুলিকেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলপাঠ্য থেকে। এনসিইআরটি অবশ্য দাবি করছে, পড়ুয়াদের উপর থেকে চাপ কমাতেই এই উদ্যোগ।