সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা নিয়ে রাজনীতি না করার বুলি প্রথম দিয়েছিল বিজেপিই। পুলওয়ামার ঘটনার পর খোদ প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছিলেন সেনার সাফল্য বা ব্যর্থতা নিয়ে রাজনীতি না করার। কিন্তু, বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁর দলের নেতা-নেত্রীরাই দফায় দফায় সেনার সাফল্যকে ভোটের ময়দানে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। এই নেতা-নেত্রীদের তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। রবিবার আরও একবার সেনার সাফল্যকে মোদিজির সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে ২২ লক্ষ চাকরি, প্রতিশ্রুতির বন্যা রাহুলের ]
রবিবার গাজিয়াবাদের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের লোকেরা জঙ্গিদের বিরিয়ানি খাওয়াত, আর মোদিজির সেনা তাদের উদ্দেশে গুলি গোলা ছোঁড়ে। এটাই পার্থক্য। কংগ্রেসের লোকেরা জঙ্গি মাসুদ আজহারকে ‘জি’ বলে সম্বোধন করে। আর মোদিজির নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদীদের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাদের ক্যাম্পগুলি গুড়িয়ে দিয়ে।” যোগী আরও বলেন, “যেটা কংগ্রেসের জন্য অসম্ভব ছিল, সেটা মোদিজির জন্যই সম্ভব হয়েছে।” কংগ্রেসের পাশাপাশি, সপা এবং বসপা জোটকেও প্রবল আক্রমণ করেন যোগী।
[আরও পড়ুন: যোগীর সভায় প্রথম সারিতে বসে আখলাখ হত্যার মূল অভিযুক্ত, দেখুন ভিডিও]
কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলেন, “এটা আমাদের প্রিয় সেনা বাহিনীর জন্য অপমানজনক। যেভাবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় সেনাকে ‘মোদিজি কি সেনা’ বলছেন সেটা লজ্জাজনক। আমরা ভারতীয় সেনার জন্য গর্বিত। সেনা এই দেশের সম্পদ, সেনা সকলের। মানুষের উচিত এগিয়ে এসে এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করা।” মমতার সুরে সুর মিলিয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও। তিনি বলেন, “সেনা বাহিনী কারও একার সম্পত্তি নয়। এভাবে ভারতীয় সেনার ব্যক্তিগতকরণ টা অপমানকর এবং লজ্জাজনক।”
The post জওয়ানদের ‘মোদিজি কি সেনা’ বলে মন্তব্য, বিতর্কে যোগী আদিত্যনাথ appeared first on Sangbad Pratidin.