সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসার পর ইদের সময় রাস্তা আটকে নমাজ পড়া বন্ধ হয়েছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। ধর্মীয়স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারও বন্ধ হয়েছে, প্রচুর ধর্মীয়স্থানের পুনর্নির্মাণ হয়েছে, রাজ্যে দাঙ্গা হয়নি। রবিবার এমন দাবিই করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi adityanath)।
এদিন নিজের বক্তব্যে বিশেষ ভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির কথা তুলে ধরেন যোগী। তাঁর দাবি রাম নবমীর সময় মধ্যপ্রদেশের মতো বেশ কিছু রাজ্যে দাঙ্গা হলেও উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রাদায়িক অশান্তি হয়নি। যোগী বলেন, “ধুমধাম করে রাম নবমী পালিত হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। রাজ্যের কোথাও অশান্তি হয়নি।” এরপরেই বলেন, “প্রথমবার নমাজপাঠ তথা ইদ উৎসব রাস্তা আটকে পালিত হয়নি।”
[আরও পড়ুন: অর্জুন সিংয়ের দলবদলের পরদিনই দিল্লিতে দিলীপ ঘোষ, জরুরি বৈঠকের সম্ভাবনা]
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে যোগীর অন্যতম দাবি ছিল, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে রাজ্যে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি। এদিন যোগী দাবি করেন, “আগে মুজাফফরনগর, মিরাট, মোরাদাবাদ-সহ বেশকিছু জায়গায় দাঙ্গা লেগেই থাকত। অনেক ক্ষেত্রেই মাসের পর মাস কার্ফু জারি করতে হত। কিন্তু গত পাঁচ বছরে একটিও দাঙ্গা হয়নি।” আরও বলেন, আমরা বেআইনি কসাইখানা উচ্ছেদ করেছি, গোমাতাদের ভাল রাখতে গোশালা নির্মাণ করেছি। ধর্মীয়স্থানে লাউডস্পিকার বাজানো বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের সরকার ৭০০ ধর্মীয় স্থানের পুনর্নির্মাণ করেছে।”
বিরোধীদের অভিযোগ, ধর্মীয় মেরুকরণের পথেই নির্বাচনে জয় পেয়েছে যোগী। সংখ্যালঘুরা ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে রাজ্যে। যদিও এই বক্তব্যকে পাত্তা দিতে নারাজ গোরক্ষপুরের মহান্ত। কারণ বিজেপির হাইকমান্ড তাঁর কাজের প্রশংসা করছে। রবিবার যে কাজের খতিয়ান দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝেও নিম্নমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ, কমল সংক্রমণ ও মৃত্যু]
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি যোগীর বুলডোজার নীতিরও প্রশংসা করেছেন মোদি (Narendra Modi)। ‘বুলডোজার’ চালিয়ে দাঙ্গায় মদতদাতা ও অন্যান্য অপরাধীদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল যোগী সরকার, তার প্রশংসা শোনা গিয়েছে মোদির মুখে। এবার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যোগী আদিত্যনাথ ও তাঁর মন্ত্রিসভার সব মন্ত্রীকে জনসেবায় মন দিতে আরজি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সমাজবাদী পার্টি-সহ অন্য বিরোধীদের কথায়, এই ‘জনসেবা’ আসলে কেবল সংখ্যাগুরুকে সেবা।