সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর কর্মসমিতির বৈঠকে নাম পরিবর্তনের জল্পনা বাড়িয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এবার বিধানসভা ভোটের আগে হায়দরাবাদের (Hyderabad) নাম পরিবর্তন ইস্যুকে ফের প্রকাশ্যে আনল বিজেপি (BJP)। হায়দরাবাদে জনসভা করতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করলেন, ক্ষমতায় এলে বিজেপি হায়দরাবাদের নাম পরিবর্তন করবে। নতুন নাম হবে ভাগ্যনগর। এর আগে, ২০২০-তে হায়দরাবাদ পুরসভার ভোটে প্রচার করতে সেখানে গিয়েছিলেন আদিত্যনাথ। প্রচারে তিনি হায়দরাবাদকে ভাগ্যনগরে পরিণত করতে মানুষকে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, আরএসএস এবং বিজেপির বিভিন্ন সারির নেতারা হায়দরাবাদের নাম বদলে ভাগ্যনগর করার দাবি তুলছেন দীর্ঘ দিন ধরে। ২০২০ সালে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পুরভোটের আগে হায়দরাবাদ সফরে গিয়েছিলেন। তিনি ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দিরে যান। বিজেপি নেতাদের মতে, ভাগ্যলক্ষ্মী নামকরণ হয়েছে ভাগ্যনগর থেকে। এমনও বলা হয় যে, হায়দরাবাদের আসল নাম ভাগ্যনগর।
[আরও পড়ুন: ‘কেউ আটকাতে পারবে না’, সংঘর্ষবিরতি শেষের মুখেই গাজায় গিয়ে হুঙ্কার নেতানিয়াহুর]
চারমিনারের দক্ষিণ-পূর্বের মিনার লাগোয়া এই ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দিরটি। আকারে ছোট। কিন্তু বিতর্কে বড়। বাঁশের খুঁটি এবং ত্রিপল, টিনের ছাদ মন্দিরের। মন্দিরের বয়স কত, সেই প্রশ্নের স্পষ্ট কোনও জবাব নেই। কারণ, এর নির্দিষ্ট কোনও ইতিহাস নেই।
[আরও পড়ুন: টিকিট কেলেঙ্কারি! শুভেন্দুর জমানায় পরিবহণে বিশাল দুর্নীতির হদিশ, দায়ের FIR]
তবে, অন্তত ১৯৬০ সাল থেকে এটি রয়েছে এখানে। এখন যে বিগ্রহ, সেটি সেই সময়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় বলে বলছেন অনেকে। চারমিনারের নির্মাণ শুরু হয় ১৫৯১ সালে। সুলতান মহম্মদ কুলি কুতুব শাহ, তার শাসনাধীন অঞ্চলে প্লেগের দাপট শেষ হওয়াটাকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেন তিনি।
সেকেন্দ্রাবাদের সাংসদ জি কিষন রেড্ডির দাবি অনুযায়ী, এই মন্দির চার্মিনারেরও আগে তৈরি হয়েছিল। চারমিনারের রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব রয়েছে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের।