রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে আসতে পারেন যোগী আদিত্যনাথ। অমিত শাহ সোয়াইন ফ্লু-তে ভুগছেন। যদি রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে অমিত শাহ না আসতে পারেন, তারই বিকল্প হিসেবে যোগীকে ভাবছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। শুধু যোগী নয়, স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করিকে এনে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। থাকতে পারেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
রথযাত্রা নিয়ে বাংলায় পরপর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু তাতেও নিষ্পত্তি হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য অনুমতি দিলেই তবেই রথযাত্রা সম্ভব। মিটিং, মিছিল, সমাবেশ করা যেতে পারে। কিন্তু রথযাত্রা নয়। এর ফলেই মুখ পুড়েছে রাজ্য বিজেপির। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশ। দেশের প্রত্যেক বিরোধী দল এই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন। এই সভায় যোগ দিতে কেউ কেউ নিজেও আসছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, জ্যোতি বসুর সেই সময়ের ব্রিগেড সমাবেশকেও ছাপিয়ে যাবে মমতার এই সভা। তাতেই প্রমোদ গুনতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।
[লক্ষ্য মতুয়া ভোট, ঠাকুরনগরে মোদিকে দিয়ে সভার ভাবনা বিজেপির]
তাই মমতার রাজ্যে কীভাবে টেক্কা দেওয়া যায়, সেই কারণেই ছক সাজাচ্ছে বিজেপি। অনেক আগে থেকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতত্ব বলেছেন, এবার লক্ষ্য পূর্বাঞ্চল। আর বাংলাকেই টার্গেট করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বারবার রথযাত্রায় ধাক্কা খেয়েও হাল ছাড়ছে না বিজেপি। এদিন আবার নবান্নে রথযাত্রা নিয়ে আবেদন জমা দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। নবান্নে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো নিয়ম মেনে রাজ্যকে রথযাত্রার আবেদন জমা দেয় বিজেপি। পরপর আবেদনপত্র জমা দিয়ে তৃণমূলকে চাপে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ রাজ্য বিজেপির।