সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথার মারপ্যাঁচে মিসেস ফানিবোনস্-কে হারানো বেশ শক্ত ব্যাপার! সেটা এতদিনে শুধু বলিউড কেন, বুঝে গিয়েছে প্রায় সারা দুনিয়াই! দুনিয়াদারির যে কোনও ব্যাপারেই বেশ সাবলীল ভাবে ফুট কাটতে পারেন তিনি। যার বহির্প্রকাশ সম্প্রতি ঘটল জাতীয় সংগীত নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায় ঘিরে।
এই যে রায় দিয়েছে না শীর্ষ আদালত- এবার থেকে সব প্রেক্ষাগৃহে ছায়াছবি শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সংগীত চালানো এবং তার সঙ্গে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ানো বাধ্যতামূলক, সেটা নিয়েই হালফিলে মুখ খুললেন নায়িকা। বা বলা ভাল- কলম ধরলেন। একটি বিখ্যাত ইংরেজি দৈনিকে ছাপার অক্ষরে ঘটল তাঁর চিন্তাভাবনার বিস্ফোরণ। কী রকম?
সাফ লিখেছেন নায়িকা, তিনি একদিন গাড়ি করে যেতে যেতে আচমকাই মোবাইলে চোখ রেখে চমকে ওঠেন। প্রেক্ষাগৃহ, জাতীয় সংগীত এবং শীর্ষ আদালতের সেই সংক্রান্ত রায়ের খবরটি পড়ে আর কী! তার পরেই হুড়মুড়িয়ে কী বেরিয়ে এল নায়িকার কলম থেকে?
নায়িকা সবার শুরুতে এই জাতীয়তাবাদের প্রসঙ্গে নিজেকে রেখেছেন সমালোচনার কাঠগড়ায়। “আমি এমন এক মহিলা যে খুব জোরে জোরে, তা সে যতই বেসুরো হোক না কেন জাতীয় সংগীত গায় এবং গাওয়ার সময় ভাবাবেগে কেঁদে ফেলে! এই নিয়ে তার ছেলেমেয়েরা সমালোচনা করে বটে, কিন্তু তাতে সে থোড়াই কেয়ার করে! তো, এহেন আমি একবার গিয়েছিলাম ওয়াঘা সীমান্তে”, লিখছেন টুইঙ্কল।
তার পর? আরও জনা দুশো লোকের ভিড়ে দাঁড়িয়ে সেখানে কী করেছিলেন টুইঙ্কল? “আমরা সবাই চিৎকার করে করে জয় হিন্দ, ভারতমাতা কি জয়- এসব জাতীয়তাবাদী স্লোগান আউড়ে যাচ্ছিলাম। ও-পার থেকে নিজেদের দেশ নিয়ে জয়ধ্বনি দিচ্ছিল পাকিস্তান। স্পষ্ট বুঝতে পারলাম, জাতীয়তাবাদ মানে এক্ষেত্রে গলা ফাটিয়ে চেঁচানো ছাড়া আর কিছুই নয়। যার গলার জোর যতটা, তার জাতীয়তাবাদের বহরও তত বেশি”, নায়িকার অকপট স্বীকারোক্তি!
“তা নইলে কখনও আদালতের রায়ে প্রেক্ষাগৃহে জাতীয় সংগীত চালানো বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে! আমি যাব বেফিকরে দেখতে! যাব রণবীর সিংয়ের লাল অন্তর্বাস দেখে চোখের আরাম পেতে! তার আগে জাতীয় সংগীত আবার কেন?” প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তিনি!
এবার আপনারাই বিচার করুন, টুইঙ্কল খান্না আদৌ জাতীয়তাবাদী এক নারী কি না! যা জানানোর, সে তো হয়েই গেল! বাকিটা আপনার সিদ্ধান্ত!
The post ইশ! জাতীয় সংগীত নিয়ে শেষে এই ভাবেন টুইঙ্কল! appeared first on Sangbad Pratidin.