সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বান্ধবীদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না হুগলির (Hooghly) তরুণীর। রহস্যজনকভাবে খুন (Murder) হলেন জাহেরা খাতুন নামে ওই তরুণী। ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ইমামবাড়া এলাকায়। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে হুগলির জেলাশাসকের দপ্তর ঘিরে এদিন বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবারের সদস্য, বন্ধুরা। পুলিশ যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভে ইতি পড়ে। মৃতা জাহেরার এক বান্ধবীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে জাহেরার দুই বান্ধবী তাঁকে বেড়াতে যাওয়ার জন্য ডাকতে আসেন। তাঁদের সঙ্গেই স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন জাহেরা। এরপর রাত ৯টা বেজে গেলেও জাহেরা বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। জাহেরাকে ফোন করা হয়। কিন্তু জাহেরার ফোন পাওয়া যায়নি। এর খানিকক্ষণ পর এক মহিলা জাহেরার বাড়িতে ফোন করে জানায়, জাহেরার দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তা শুনে চিন্তিত হয়ে জাহেরার দাদা-সহ অনেকেই ছুটে যান হাসপাতালে। কিন্তু গিয়ে দেখেন, জাহেরার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর দাদার অভিযোগ, ”বোনের শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন আছে। আমাদের অনুমান, ওকে খুন করা হয়েছে। যথাযথ তদন্ত হোক। দোষীরা দ্রুত ধরা পড়ুক, এটাই চাই।”
[আরও পড়ুন: তিনদিন ধরে খাদ্যনালীতে আটকে থাকা কয়েন বের করে খুদের প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসক]
এরপরই জাহেরাকে খুনের অভিযোগ তোলে তাঁর পরিবার। দাদার অভিযোগ, বোন জাহেরার বিয়ে হয়েছিল আগে। কিন্তু বছর দেড়েক আগে ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপর থেকে বোন তাঁদের বাড়িতেই রয়েছেন। জানা গিয়েছে, যে দুই বান্ধবী শনিবার বিকেলে ডাকতে এসেছিলেন, তাঁদের একজনের বাড়ি ব্যান্ডেলে। অপরজনের বাড়ি নৈহাটির গড়িফায়। এদের একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। জাহেরার দাদার অভিযোগ, বোনের খুনের নেপথ্যে তাঁর পূর্ববর্তী বৈবাহিক জীবনের যোগ থাকতে পারে। পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে বোনকে।