রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পুজোর (Durga Puja 2022) জনসংযোগেও মুরলীধর সেন লেনকে টেক্কা দিল আলিমুদ্দিন। রাজ্যজুড়ে কয়েক হাজার বুকস্টল, মণ্ডপে মণ্ডপে ‘ইয়ং ব্রিগেড’ অর্থাৎ পার্টির ছাত্র-যুবরা আমজনতার সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছে শারদোৎসবকে। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে জেলায় জেলায় আন্দোলনে ভাঁটা রয়েছে কিছুটা। কিন্তু সেই দুর্বলতা কাটিয়ে পুজোর পর কার্যত বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৈরি হয়ে নিতে চাইছে সিপিএম। ষষ্ঠীর দিন থেকেই গোটা রাজ্যজুড়ে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই এবং পার্টির বুকস্টল মিলিয়ে ধরলে সংখ্যাটা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
যুবশক্তির শারদ সংখ্যার চাহিদাও বেড়েছিল এবার। শুধু ছাত্র-যুব সংগঠনেরই বুকস্টল হয়েছে ৭ হাজারের বেশি। কলকাতায় বাগবাজার ও কলেজ স্কোয়ারে পার্টির বুকস্টল উদ্বোধন করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu)। যাদবপুরে পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র ছিলেন ঢাকুরিয়া ও বেলেঘাটার বুকস্টলে। সল্টলেকে বুকস্টলে যান সুজন চক্রবর্তী, রাজারহাটে ছিলেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, হাওড়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মনসাতলা শাখায় সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠনের বুকস্টলে উপস্থিত ছিলেন দীপ্সিতা ধর, কলতান দাশগুপ্তরা। পুজো মিটলেই আন্দোলন ও কমর্সূচির ঝাঁজ বাড়াতে চায় সিপিএম।
[আরও পড়ুন: অষ্টমীর সকালে ভিলেন বৃষ্টি, আগামী কয়েক ঘণ্টা বর্ষণের পূর্বাভাসে মনখারাপ উৎসবপ্রেমী বঙ্গবাসীর]
একদিকে বিরোধী আন্দোলনের পরিসরে বিজেপিকে কোণঠাসা করা, অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে চাঙ্গা করাই উদ্দেশ্য। সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে ভাল সাড়া ছিল। কলেজ স্ট্রিটে ছাত্র সমাবেশ ও ধর্মতলায় যুব সমাবেশে নজরকাড়া ভিড় সিপিএম নেতাদের ভরসা জুগিয়েছে। তাই পুজোর মরশুম কাটলেই জনসংযোগ, আন্দোলনের রূপরেখা অনেকটাই তৈরি হয়ে গিয়েছে আলিমুদ্দিনের। ভাইফোঁটার পরই দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক বসবে। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে একাধিক রণকৌশল তৈরি হবে। বুথভিত্তিক সাংগঠনিক অবস্থার রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে পার্টির জেলা সম্পাদকদের।
এদিকে, পুজোর সময় গেরুয়া শিবিরের বুকস্টলের সংখ্যা জেলায় জেলায় ছিল হাতেগোনাই। কিছু এলাকা ছাড়া সেভাবে জনসংযোগে দেখা যায়নি বিজেপি নেতাদের। উল্টোদিকে সিপিএম নেতারা পাড়ায় পাড়ায় জনসংযোগে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন পুজোর সময়ে।