সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারবাদের রাজনীতির বিরুদ্ধে ফের সোচ্চার হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১১৩ তম 'মন কি বাত' রেডিও অনুষ্ঠানে মোদি বার্তা দিলেন, পরিবাদ দেশের রাজনীতির জন্য এক গুরুতর অসুখ। যা রাজনীতিতে নয়া প্রতিভাকে উঠে আসতে দেয় না। কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নাম না করলেও প্রতিবারের মতো মোদির এই বার্তা যে বিরোধী দলগুলির উদ্দেশে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
১৫ আগস্ট লালকেল্লায় নিজের ভাষণেও পরিবারবাদের কথা তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, "আমি এবার লালকেল্লার ভাষণে এক লক্ষ যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে রাজনীতিতে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছি। এরা সেই যুব সম্প্রদায় যাঁদের পরিবারে অতীতে কোনও রাজনীতির সিলমোহর নেই। আমার সেই আবেদন দেশের যুব সমাজের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। যে প্রতিক্রিয়া আমি পেয়েছি স্পষ্ট হয়ে যায় দেশের যুব সমাজের প্রতিনিধিরা রাজনীতিতে আসার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। শুধু প্রয়োজন সুযোগ ও যোগ্য মার্গদর্শকের। একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, পরিবারবাদের রাজনীতি নয়া প্রতিভার উঠে আসার পথে অন্যতম বড় বাধা।"
[আরও পড়ুন: হয় দ্রুত বিচার, না হয় মুক্তি, দীর্ঘদিন ‘ঝুলে থাকা’ মামলা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা সুপ্রিম কোর্টের]
উল্লেখ্য, পরিবারবাদ ইস্যুতে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বার বার আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত কংগ্রেসই বার বার উঠে এসেছে মোদি-সহ বিজেপি নেতাদের নিশানায়। পরিবারবাদের রাজনীতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের আক্রমণ শানালেও প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরে পরিবারবাদের রাজনীতি নিয়ে। পীযূষ গোয়েল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্রিয়া, সুষমা স্বরাজের কন্যা বাসুরি স্বরাজের মতো নেতৃত্বরা পরিবারবাদের রাজনীতিরই অংশ। এমন উদাহরণ হয়েছে ভুরিভুরি। ফলে নরেন্দ্র মোদি পরিবারবাদের বিরোধিতায় সরব হলেও 'পরিবারবাদ মুক্ত' দল গড়তে গেলে খোদ বিজেপিটাই ফাঁকা হয়ে যাবে বলে মত বিরোধীদের।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ থেকে একজন হিন্দুও আসেননি, কিন্তু…’, বিস্ফোরক হিমন্ত বিশ্বশর্মা]
তবে পরিবারবাদ ছাড়াও এদিন বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে বার্তা দিতে শোনা যায় মোদিকে। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে দেশজুড়ে এমন কিছু কর্মকাণ্ড চলছে যা বিকশিত ভারতের ভিতকে আরও মজবুত করবে। উদাহরণ তুলে তিনি বলেন, গত ২৩ আগস্ট দেশবাসী প্রথম বার জাতীয় মহাকাশ দিবস উদযাপন করেছে। কারণ এই দিন চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল। বিভিন্ন স্টার্টআপের মাধ্যমে আজ দেশের যুব সম্প্রদায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এদিন মধ্যপ্রদেশের এক সাফাইকর্মীর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। ঝাবুয়ার সাফাইকর্মীর কাজ করেন দুই ভাইবোন 'ওয়েস্ট টু ওয়েলথ'-এর বার্তাটি বাস্তবায়িত করে সকলকে চমকে দিয়েছেন। এই দলটি ঝাবুয়ায় একটি পার্কের আবর্জনা থেকে আশ্চর্য শিল্পকর্ম তৈরি করেছে। যা সকলের দেখা উচিত।