সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানবাধিকার পরিষদে আপনার উপস্থিতি অসহনীয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরানের তীব্র সমালোচনা করে এই মন্তব্যই করা হল রাষ্ট্রসংঘের নজরদারি সংস্থা ইউএন ওয়াচের পক্ষ থেকে। এর পাশাপাশি তাঁর প্রশাসন দেশের নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষা করতেও ব্যর্থ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।
কিছুদিন আগে হজরত মহম্মদের বিতর্কিত কার্টুন প্রকাশ করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বলেছিলেন, ফ্রান্সে কথা বলা, লেখা, চিন্তা করা ও আঁকার স্বাধীনতা রয়েছে। এরপরই তাঁর নাম না উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) টুইট করেছিলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে ধর্মের নিন্দা করা সহ্য করা হবে না।’ শুধু তাই নয়, ইউরোপজুড়ে যেভাবে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ বাড়ছে তার বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার আরজি জানিয়ে মুসলিম দেশগুলির রাষ্ট্রনায়কদের চিঠিও লেখেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘কেবল ফ্লয়েডের নয়, অনেকেরই শ্বাসরোধ হয়েছিল’, বিডেনের জয়ে কেঁদেই ফেললেন কৃষ্ণাঙ্গ সঞ্চালক]
এই সমস্ত বিষয় নিয়ে টানাপোড়েন চলার মাঝেই গত অক্টোবর মাসে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ (UNHRC) -এর সদস্য হিসেবে ১৬৯টি ভোট পেয়ে পুনর্নিবাচিত হয় পাকিস্তান। এশিয়া-স্পেসিফিক অঞ্চলে তারাই সবচেয়ে বেশি ভোট পায়। এরপরই তাদের নির্বাচিত হওয়ার দিনটাকে মানবাধিকার রক্ষার লড়াইয়ে একটি কালো দিন হিসেবে উল্লেখ করে পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করে জেনিভার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইউএন ওয়াচ (UN Watch)। রাষ্ট্রসংঘের কাজকর্মের উপর নজরদারিতে লিপ্ত এই সংগঠনটির এক সদস্য জানান, যেভাবে পাকিস্তানে খ্রিস্টান, হিন্দু ও আহমেদিয়া মুসলিম-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার হচ্ছে। তাতে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে সদস্য হিসেবে তাদের উপস্থিতি মেনে নেওয়া যায় না। একই কথা প্রযোজ্য উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার চালানো চিনের ক্ষেত্রেও।