রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: স্কুলের সামনেই শুটআউট (Shootout)। স্থানীয় এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের ১ নম্বর ব্লকের বিশ্বনাথপুরে ছড়াল ব্যাপক চাঞ্চল্য। কে বা কারা ওই যুবককে খুন করল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। খুনের কারণও স্পষ্ট নয়। পটাশপুর থানার পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ একটি গুলির শব্দ পান স্থানীয়রা। প্রথমে ভেবেছিলেন কেউ হয়তো মজার ছলেই বোমা ফাটাচ্ছে। তাই শীতের রাতে বাড়ি থেকে বেরোননি কেউই। তবে বুধবার সকালে পুরো বিষয়টি দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যায়। তাঁরা দেখেন বিশ্বনাথপুর গার্লস স্কুলের সামনেই পড়ে রয়েছে স্থানীয় যুবক বাপি নায়েকের দেহ।
[আরও পড়ুন: Lionel Messi: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মেসি ম্যাজিক, জোড়া গোল টপকে গেলেন কিংবদন্তি পেলেকে]
খবর দেওয়া হয় পটাশপুর (Patashpur) থানায়। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বাপির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। বাপিকে যে খুন করা হয়েছে, সে বিষয়টি স্পষ্ট। কে বা কারা ওই যুবককে খুন করল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কী কারণেই বা খুন করা হল তাঁকে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছেন না বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
এলাকায় অত্যন্ত ভাল ছেলে হিসাবেই পরিচিত ছিলেন বছর তিরিশের বাপি। নিজের কাজেই দিনরাত সময় কেটে যেত তাঁর। কোনও রাজনৈতিক পরিচিতিও ছিল না ওই যুবকের। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের একদল দুষ্কৃতীর পটাশপুরে আনাগোনা লক্ষ্য করেছেন তাঁরা। ওই দুষ্কৃতীরা এলাকায় নানা অসামাজিক কাজ করছে। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওই দুষ্কৃতীদের মুখোমুখি হয়ে যাওয়ার ফলে বাপিকে খুন হতে হয়েছে বলেই অনুমান স্থানীয়দের। এলাকাবাসীর অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখছে পটাশপুর থানার পুলিশ। এদিকে, স্থানীয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।