সুব্রত বিশ্বাস: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এর প্রচার চালাচ্ছেন, ঠিক তখনই চলন্ত ট্রেনে মহিলা কামরায় শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক মহিলা। দমদম থেকে শিয়ালদহ আসার রাস্তায় চলন্ত ট্রেনের ফাঁকা মহিলা কামরায় তাঁর শ্লীলতাহানি করে এক যুবক। অথচ কামরায় কোনও রক্ষীর দেখা মেলেনি। শেষে শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান তিনি। শুরু হয়েছে তদন্ত। রাতে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বছর আঠাশের যুবতীর বাড়ির নিউ আলিপুর এলাকায়। পেশায় তিনি ট্যাটু শিল্পী। শুক্রবার কাজের সূত্রে ফুলিয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে শান্তিপুর লোকানে ওঠেন। রাতের ট্রেনে মহিলা কামরা ফাঁকা ছিল। অভিযোগ, দমদম থেকে বছর ৩৫-এর যুবক মহিলা কামরায় উঠে পড়ে। তার পরই মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে সে। মহিলা সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক লাইভ করতে শুরু করেন। তা দেখেও যুবক দমেনি। বরং হুমকি দিতে থাকে সে। মেয়েটি অভিযোগ করেন, ওই যুবক তাঁর গায়েও হাত দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিয়ের দিন স্ত্রী ডোনাকে বিশেষ উপহার দিয়েছিলেন সৌরভ, রহস্য ফাঁস ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে]
এদিকে ট্রেনটি গ্যালোপিন থাকায় বিধাননগর স্টেশনে থামেনি। শিয়ালদহ স্টেশন ঢোকার আগে গতি কমতেই ট্রেন থেকে নেমে যায় ওই যুবক। পরে ট্রেন থেকে নেমে শিয়ালদহ আরপিএফের কাছে অভিযোগ জানান ওই যুবতী। কিন্তু ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেটি আবার দমদম রেল পুলিশের আওয়াধীন। ফলে তাঁরা এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু মাঝপথেই চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছিল অভিযুক্ত। তাই সিসিটিভি দেখে তার পরিচয় পাওয়া বেশ কঠিন বলেই মনে করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ট্রেনের মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ‘মেরি সহেলি’ চালু করেছে আরপিএফ। তার পরেও রাতের ট্রেনে মহিলা কামরায় কোনও রক্ষীর দেখা মেলেনি। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, চলন্ত ট্রেনে একাধিবার শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন মহিলারা। শ্লীলতাহানি করে ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ারও মতোও ঘটনা ঘটেছে।