অর্ণব দাস, বারাকপুর: খুন নাকি আত্মহত্যা? রেললাইনের পাশ থেকে তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর (Shyamnagar) স্টেশন সংলগ্ন ২৫ ও ২৬ নম্বর রেলগেটের মধ্যবর্তী এলাকা থেকে তরুণীটি দেহটি পাওয়া যায়। দেহ উদ্ধারের সময় তাঁর হাতে ছিল মোবাইল এবং কানে হেডফোন।
উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের গুড়দহের মাতৃপল্লি এলাকার বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের রিয়া মুখোপাধ্যায়। গুড়দহ শালবাগান এলাকারই বাসিন্দা অসীম হাওলাদার ওরফে বুটুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাঁর। পরিবারের দাবি, বুটু মাঝেমধ্যেই ফাঁকা বাড়িতেও ডেকে পাঠাত তাঁকে। তরুণীও যেতেন। তবে সম্প্রতি সকলে জানতে পারেন বুটুর অন্যত্র বিয়ের পাকা কথা হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও রিয়ার সঙ্গে প্রতারণা করছিল সে। তা নিয়ে তরুণ ও তরুণীর মধ্যে মন কষাকষিও চলছিল।
[আরও পড়ুন: ২০০ কোটির ক্লাবে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, জানেন কত পারিশ্রমিক নিয়েছেন অনুপম খের ও মিঠুন?]
মঙ্গলবার বুটুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরন তরুণী। তবে রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরিবারের সকলেই দুশ্চিন্তা করতে শুরু করেন। ইতিমধ্যেই বুটু তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ফোনে জানায় শ্যামনগর স্টেশন সংলগ্ন ২৫ ও ২৬ নম্বর রেলগেটের মধ্যবর্তী এলাকায় রিয়ার দেহ পড়ে রয়েছে। কারণ, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তড়িঘড়ি ওই এলাকায় পৌঁছন তরুণীর পরিবারের লোকজন। দেখেন রিয়া রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। সেই সময় তাঁর হাতেই ছিল মোবাইল। কানে তখনও গোঁজা ছিল হেডফোন।
দেহ দেখার পরই সন্দেহ দানা বাঁধে। ট্রেনের ধাক্কায় রিয়ার মৃত্যু হয়েছে, তা মানতে নারাজ প্রায় প্রত্যেকেই। ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পরেও মোবাইল এবং হেডফোন সুবিন্যস্ত অবস্থায় কীভাবে থাকল, উঠছে সে প্রশ্ন। মৃতার পরিচিতদের দাবি, রিয়া আত্মঘাতী হতে পারেন না। ওই যুবক এবং তার পরিজনেরা রিয়াকে খুন করেছে বলেই অভিযোগ। জগদ্দল থানা এবং নৈহাটি জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার পরিজনেরা। যদিও রিয়ার পরিবারের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বুটুর বাড়ির লোকজন। বুটুর সঙ্গে রিয়ার সম্পর্ক ছিল না বলেই পালটা দাবি করা হয়েছে।