সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণ করে বেপাত্তা হওয়ার পাঁচবছর পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত যুবক। সুন্দরবন পুলিশ জেলার নামখানা থানার পুলিশ পূর্ব মেদিনীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে অভিযুক্তকে। রবিবার তাকে আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই নামখানা থানা এলাকার এক নাবালিকা হঠাৎই উধাও হয়ে যায়। পরিবারের লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নাম জড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের কাপাসারিয়ার বাসিন্দা যুবক সান্তু পড়ুয়ার। অভিযোগ ওঠে ওই যুবকই নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানান, নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সেসময়ই অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত যুবকটি পালিয়ে যায়। ঘটনায় নির্যাতিতা নাবালিকা আদালতে গোপন জবানবন্দি দেয়। তার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এরপরই অভিযুক্তের খোঁজ তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তার কোনও হদিশ না পাওয়া গেলেও হাল ছাড়েনি পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাল পুরবোর্ডের প্রশাসকের উপর হামলা ও ছিনতাই, নাম জড়াল বিজেপির]
তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই যুবক দেশ ছেড়ে কুয়েতে পালিয়েছে। সেখানে সে পাইপলাইনে ঝালাই মিস্ত্রির কাজ করছে। সূত্র মারফত যুবকটির গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। শনিবার খবর আসে গত সপ্তাহেই কুয়েত থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের বাড়িতে ফিরেছে সে। তদন্তকারী অফিসার কার্তিক মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নামখানা পুলিশের এক বিশেষ দল অভিযুক্তকে ধরতে জাল পাতে। শেষপর্যন্ত মহিষাদলের বাড়ি থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার তাকে কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।