অর্ণব আইচ: বড়তলা থানার ওসির নাম, ছবি পোস্ট করে সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো প্রোফাইল। ফেসবুকে (Facebook) সেই প্রোফাইল খুলে প্রতারণার ছক কষতেই তা ফাঁস হয়ে গেল। সাইবার অপরাধ ও লক্ষাধিক টাকা জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশের জালে ধরা পড়ল রাজস্থানের (Rajasthan) এক যুবক। এর আগেও এই যুবককে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। দমদম সেন্ট্রাল জেলে সে কিছুদিন কাটিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম শেখ রহিস। গত জুলাইয়ে এই ব্যাপারে উত্তর কলকাতার বড়তলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ফেসবুকে বড়তলা থানার ওসির নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট (Fake account) খোলা হয়। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলা হয় যে, ওসির নিজের ও থানার বেশ কিছু আসবাবপত্র বিক্রি হবে। তা দেখে এক ব্যক্তি সোশাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করে। তাঁকে কিছু দামী আসবাবপত্রের ছবিও পাঠানো হয়। তিনি সেগুলি নিতে রাজি হলে তাঁকে থানার ওসি বলেই পরিচয় দিয়ে অভিযুক্ত বলে, একটি অ্যাকাউন্টে তাঁকে টাকা পাঠাতে হবে। এর পরই তাঁকে আসবাবপত্রগুলি তাঁর ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: হার্দিক মুম্বইয়ের নেতা হতেই শেষ হয়ে গেল রোহিত-ধোনির মগজাস্ত্রের লড়াই, সিএসকের পোস্ট ভাইরাল]
ওসির নাম ও ছবি থাকার ফলে ব্যক্তিটি তা বিশ্বাসও করে ফেলেন। তিনি ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ২ হাজার ৭৫২ টাকা পাঠান। কিন্তু কোনও আসবাবপত্র না পেয়ে তিনি যোগাযোগ করেন। কিন্তু দেখা যায়, ওই নম্বর ব্লক হয়ে গিয়েছে। তখন বড়তলা থানায় এসে যোগাযোগ করেন ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: বাইকে বসে ফেসবুক লাইভ! দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের]
এর পরই প্রতারণার ঘটনা সামনে আসে। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে রহিসের নাম। জানা যায়, সে রাজস্থানের আলোয়ারের বাসিন্দা। এক পুলিশকর্তার নাম করে একই ধরনের অপরাধ ঘটানোর অভিযোগে বিধাননগরের সাইবার থানার (Cyber PS) পুলিশ রাজস্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। সে ওই মামলায় দমদম জেলেই ছিল। জানা যায়, একইসঙ্গে সে একাধিক অপরাধ ঘটায়। তাকে দমদম সংশোধনাগার থেকে গ্রেপ্তার করে বড়তলা থানার পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়। তাকে জেরা করে এই অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।