সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সল্টলেকে কলকাতা পুলিশের আবাসন থেকে মরণঝাঁপ যুবকের। আবাসনের ১১ তলা থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। প্রাথমিকভাবে অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। কী কারণে আত্মহত্যা করলেন ওই যুবক, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে ওই যুবককে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল নাকি এটি নিছক দুর্ঘটনা, সে সন্দেহও জিইয়ে রেখেছে পুলিশ। বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার সকাল সোয়া দশটা নাগাদ ভারী কিছু জিনিস পড়ে যাওয়ার শব্দ পান সল্টলেকে কলকাতা পুলিশের আবাসনের বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি বেরিয়ে এসে তাঁরা দেখেন নিচে পড়ে রয়েছেন এক যুবক। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা শরীর। হইচই শুরু হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় বিধাননগর উত্তর থানায়। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যুবককে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানান, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিশ্বক্রিকেটে নিয়ম বদল, বিতর্কিত ‘মানকাডিং’ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল MCC]
জানা গিয়েছে নিহত যুবকের নাম পার্থসারথি পাল। বছর বাইশের ওই যুবক সল্টলেকেরই বাসিন্দা। তবে তিনি কলকাতা পুলিশের আবাসনে থাকতেন না। কীভাবে পুলিশ আবাসনের ১১ তলায় উঠে পড়লেন যুবক, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তবে আবাসনের ছাদ থেকে অসতর্কতায় যুবক পড়ে গেলেন নাকি তাঁকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে, সে আশঙ্কাও পুরোপুরি এড়ানো যাচ্ছে না। আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।
পুলিশ আপাতত ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে যুবকের জুতো, মাস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যুবকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও সূত্রের খবর, তাঁর কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনা সংক্রান্ত আরও তথ্যের খোঁজে আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।