বিক্রম রায়, কোচবিহার: গরু পাচারকারী সন্দেহে ফের বিএসএফের (BSF) গুলিতে ভারতীয় যুবকের মৃত্যু ঘিরে শোরগোল ছড়াল কোচবিহার সীমান্তে। শনিবার গীতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভরবান্ধা এলাকার ঘটনা। বিএসএফের দাবি, ওই যুবক গরু পাচার করছিল, এই সন্দেহে তাঁকে রুখতে রাবার বুলেট চালানো হয়েছে। কিন্তু রাবার বুলেটে (Rubber Bullet) কীভাবে মৃত্যু হল, সেই প্রশ্ন উঠছে। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই সত্যিটা জানা যাবে।
গীতালদহ ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ভরবান্ধা এলাকার বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের প্রেম বর্মণ। তিনি দিনমজুরি করেন বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। ভরবান্ধা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা। শনিবার সকালে প্রেম সীমান্তের দিকে গিয়েছিলেন। তখনই বিএসএফ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি (Shootout) চালায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন প্রেম। আশেপাশের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত (Death)বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলকে খুশি করতে চৈতালিকে মানসিক হেনস্তা পুলিশের’, জেরা নিয়ে তোপ জিতেন্দ্রর]
আচমকা ছেলের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছতেই সকলে বাকরুদ্ধ হয়ে যান। কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রেমের মা-বাবা। কান্নাভেজা গলাতেই তিনি বলেন, ”ছেলেটা সকালে ওদিকে গিয়েছিল। তারপর শুনি, গুলি লেগেছে ওর। কী করে যে এমন হল, ভাবতেই পারছি না।” বর্মণ পরিবারের এক সদস্য জানাচ্ছেন, দিনমজুরি করে দিন কাটত প্রেমের। গরু পাচার বা তেমন কোনও কাজের সঙ্গে কখনই যুক্ত ছিল না। সীমান্তের দিকে কাজে গিয়েছিল এদিন। কিন্তু তাতেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল।
বিএসএফের দাবি, তাঁরা সীমান্তে কাঁটাতারের কাছে প্রেমকে ঘোরাফেরা করতে দেখেছিলেন। গরু পাচারকারী বলে সন্দেহ হয়। পাচার যাতে রোখা যায় তার জন্য রাবার বুলেট ছুঁড়ে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কোচবিহারের সহকারী পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ জানিয়েছেন, ”আমরা সীমান্ত এলাকা থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। তার রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে, কীসে মৃত্যু হয়েছে।”