shono
Advertisement

প্রেমে বাধা, ডায়মন্ড হারবারে খুন যুব তৃণমূল নেতা, দেহ ভেসে উঠল খালের জলে

গ্রেপ্তার মৃতের পিসতুতো বোন।
Posted: 09:39 PM Apr 13, 2021Updated: 09:41 PM Apr 13, 2021

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে খোঁজ মিলল। তবে তখন দেহে প্রাণ নেই। বাড়ির কাছেই একটি খালের জলে উদ্ধার হল ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) ১ নম্বর ব্লকের কানপুর-ধনবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূল (TMC) সভাপতি পলাশ মণ্ডলের পচাগলা দেহ। তাঁকে খুন করে খালের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। এদিন তাঁর দেহ খালের জলে ভেসে ওঠার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, পিসতুতো বোনের প্রেমের সম্পর্কে বাধা দিয়েছে খুন হতে হয়েছে যুব নেতা পলাশকে। তার মৃতের পিসতুতো বোনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বোনের প্রেমিক ও তাদের এক সহযোগী পলাতক।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে পলাশের কাছে একটি ফোন আসে। তারপরই ১ টা ২০ থেকে ১টা ৩০এর মধ্যে ‘কাজে যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ ছিল না তাঁর। পলাশের কাছে থাকা দু’টি মোবাইল ফোনের একটি ছিল সুইচড্ অফ। আর একটি ফোনে বারবার রিং হয়ে গেলেও ফোন ধরেননি পলাশ। মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে গৌরিপুর খালের জলে পানার মধ্যে তাঁর মৃতদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খালের জল থেকে মৃতদেহটি সম্পূর্ণ পচাগলা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। তাঁকে খুন করা হয়।

[আরও পডুন: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার বলি ২০, টেস্ট বাড়তেই ঊর্ধ্বমুখী আক্রান্তের সংখ্যাও]

খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পলাশের পিসতুতো বোন বছর ছাব্বিশের টুম্পা দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম (ACJM) আদালতে তোলা হলে ন’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায় আদালত। জানা গিয়েছে, টুম্পার সঙ্গে ডায়মন্ডহারবারের মোহনপুরের বাসিন্দা বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া এক যুবকের পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক মানতে পারেননি পলাশ। বারবার নিষেধ সত্ত্বেও টুম্পা ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটাতে রাজি হয়নি।

[আরও পডুন: ‘ভয়ংকর খেলা হবে’ মন্তব্যের জের, এবার অনুব্রত মণ্ডলকে শোকজ করল কমিশন]

তাই পলাশকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে প্রেমিক-প্রেমিকা। প্রেমিক ওই তৃণমূল যুব নেতাকে খুনের ছক করে। পরিকল্পনা সফল করার জন্য একজনকে সুপারি দেওয়া হয় বলে পুলিশি তদন্তে তথ্য উঠে এসেছে। ওই সুপারি কিলার কৌশলে পলাশের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করে ফেলে। তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর একটি সিসিটিভির ফুটেজ হাতে পায় পুলিশ। ওই ফুটেজে এক ব্যক্তিকে একটি মোটরবাইকে করে পলাশকে তুলে নিয়ে দ্রুত এলাকা ছাড়তে দেখা যায়। ওই ব্যক্তিই সুপারি কিলার কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। টুম্পার প্রেমিক ও ওই সুপারি কিলার পলাতক। তাদের খোঁজে পুলিশ জোর তল্লাশি শুরু করেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement