অর্ণব আইচ: বেসরকারি হাসপাতালের ভিতরই এক মহিলা আধিকারিকের শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগ উঠল। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল এক যুবক। অভিযোগ, রোগীর আত্মীয় সেজে হাসপাতালের ভিতর ঢুকে পড়েছিল ওই যুবক। মহিলা আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁর শ্লীলতাহানি করে ওই যুবক। খাস কলকাতার (Kolkata) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে ঘটেছে এই ঘটনাটি। ধৃত ওই যুবকের নাম মহম্মদ সোনু। সে দক্ষিণ কলকাতার মিন্টো পার্কের কাছে ওই বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর আত্মীয় সেজে প্রবেশ করে। সিঁড়ি বেয়ে উঠে যায় উপরে। রাতে হাসপাতালে আগন্তুককে দেখে প্রশ্ন করেন এক মহিলা আধিকারিক। মহিলার অভিযোগ, ফ্লোরেই তাঁর শ্লীলতাহানি করে ওই যুবক। তিনি চিৎকার করে উঠতেই ছুটে আসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পালানোর আগেই তাকে আটক করা হয়।
[আরও পড়ুন: তীব্র গরম কাড়ল আরও এক প্রাণ, হিট স্ট্রোকের বলি যাদবপুর বিদ্যাপীঠের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী]
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শেক্সপিয়র সরণি থানায় খবর দেন। সিসিটিভিতে ধরা পড়ে ওই যুবকের কুকীর্তি। তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার ব্যাংকশাল আদালতে তোলা হলে তাকে ১০ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। কীভাবে অভিযুক্ত উপরে উঠল, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ, শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠছে। কোথাও গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার সরাসরি গণপরিবহণে মূক ও বধির কিশোরীকে যৌননিগ্রহের অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। মধ্য কলকাতার (Central Kolkata) পোস্তা থানা এলাকায় বাড়ির ভিতরেই ধর্ষণের শিকার বিশেষভাবে সক্ষম মহিলা। মহিলার দাদা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। বিহার থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে অভিযুক্তকে। আবার অটোর মধ্যেও এক মূক বধির কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে গ্রেপ্তার হয় এক পুলিশ কর্মী।