সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাওনা টাকা না পেয়ে যুবককে ৮ তলা থেকে ছুড়ে ফেলে খুন করার অভিযোগ উঠল পাওনাদারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ এপ্রিল দিল্লির (Delhi Murder) লোধি কলোনি এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমে ২ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ (Police)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, ৮ তলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার আগে রীতিমতো মারধর করা হয়েছিল ওই যুবককে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত যুবকের নাম চন্দন। তিনি বিহারের (Bihar) ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা। খুনের অভিযোগে যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হল, আহমেদ সলমন ও ধর্মেশ মালিক। পুলিশের দাবি, ধর্মেশ নামে ওই অভিযুক্ত সুদের ব্যবসা করতেন। পাশাপাশি ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে অনলাইন প্রতারণা ও জুয়ার টাকা লেনদেন করত। বিহারের চন্দন নামে মৃত ব্যক্তি ধর্মেশের কাছ থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকা সুদে নেয়। তবে সেই টাকা সে ফেরায়নি। টাকা ফেরত পেতে চন্দনকে দফায় দফায় হুমকি দেয় ধর্মেশ।
[আরও পড়ুন: মামলা প্রত্যাহার প্রাক্তন বন্ধুর, ভোটের মুখে স্বস্তিতে মহুয়া]
এর পর চন্দনকে খুনের পরিকল্পনা করেই চন্দনকে তাঁর বাড়ি থেকে গাড়িতে তুলে লোধি কলোনিতে অবস্থিত এনডিএমসি বিল্ডিংয়ের ৮ তলায় নিয়ে যায় ধর্মেশ। সেখানে তাঁর কাছে বকেয়া টাকা ফেরত চাওয়া হয়। যদিও চন্দন জানায় সে চেষ্টার পরও টাকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। টাকা না পেয়ে তাঁকে ব্যাপক মারধর করে ধর্মেশ ও তাঁর সঙ্গে থাকা সলমন। সব শেষে ৮ তলা থেকে ছুড়ে ফেলা হয় চন্দকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চন্দন নামে ওই যুবকের।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়াচ্ছে ‘ইহুদিবিদ্বেষ’? গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত পড়ুয়া]
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে গত ২৪ এপ্রিল রাতে গাজিয়াবাদ থেকে সলমন ও ধর্মেশ দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি দুজনেই দাগি অপরাধী। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় আগে থেকেই একাধিক মামলা রয়েছে। সলমনের বিরুদ্ধে আগে একটি খুনের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে। দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।