সংবাদ প্রতিদিনি ডিজিটাল ডেস্ক: কলেজ কামাই করে ঘুড়ি ওড়ানোয় ছেলেকে শাসন করেছিলেন বাবা। তারই মাশুল গুনতে হল গোটা পরিবারকে। বাবা-মা, ছোট বোনকে কুপিয়ে খুন করল ১৯ বছরের তরুণ। দক্ষিণ দিল্লির কিষানগড় এলাকার ঘটনা।
[ বাংলায় ধেয়ে আসছে তিতলি, শ্রীকাকুলামে প্রাণহানি ২ জনের]
গুরগাঁও-এর একটি ইঞ্জিয়ারিং কলেজের ছাত্র সুরজ বর্মার আর্তনাদে বুধবার ভোরে ঘুম ভেঙেছিল প্রতিবেশীদের। তাঁরাই দৌড়ে গিয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে উদ্ধার করেন রক্তাক্ত সুরজকে। সেই সঙ্গে বাড়ির তিনটি ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের বাকি তিন সদস্যের রক্তাক্ত মৃতদেহ। পুলিশ এসে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে সুরজকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। পুলিশকে সুরজ জানিয়েছে, কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাদের বাড়িতে ঢুকে বাড়ির সকলকে খুন করেছে। ক্ষতবিক্ষত সুরজ মৃতের মতো পড়ে থাকায় কোনওরকমে সে প্রাণে বেঁচেছে। যদিও ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ জানতে পারে, বাড়ির সদর দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। প্রতিবেশীরা এসেই প্রথমে তা ভেঙে প্রবেশ করেন। এরপরেই সুরজকে জেরা শুরু করে পুলিশ। আর তখনই ভেঙে পড়ে ১৯ বছরের ওই তরুণ।
পুলিশকে ওই তরুণ জানিয়েছে, বাবা-মা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। হাত খরচের টাকা দেওয়া নিয়েও অশান্তি হত। বাবার থেকে টাকা আদায় করতে তিন বছর আগে নিজেই অপহরণের নাটক করেছিল সুরজ। সম্প্রতি কলেজ কামাই করে ঘুড়ি ওড়ানোয় বাবা তাকে মারধরও করেন। তারপরেই এই হত্যাকাণ্ডের ছক কষে সে। বুধবার ভোরে প্রথমে বাবা মিথিলেশ ভার্মার (৪৪) ঘরে ঢুকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে সে। বুকে পেটে আটটা আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে মা সিয়া (৩৮) ভার্মাকে সাতবার কোপায়। তারপর বোনকে ঘুম থেকে তুলে হত্যা করে সুরজ। হত্যালীলা সেরে নিজেই নিজেকে জখম করে বহিরাগতের হামলার নাটক করে।
[চার বছর পর বিমানের জ্বালানিতে শুল্ক কমাল কেন্দ্র]
The post ঘুড়ি ওড়াতে বাধা, বাবা-মা ও বোনকে কুপিয়ে খুন তরুণের appeared first on Sangbad Pratidin.