সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনেদুপুরে শুটআউট দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) আড়িয়াদহ এলাকায়। যুব তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে কয়েকজন দুষ্কৃতী গুলি (Shootout) চালায় বলে অভিযোগ। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে বাইক থেকে পড়ে যান ওই যুবক। এরপর তাঁকে রাস্তায় ফেলেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ভরতি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত আড়িয়াদহ এলাকা। অভিযোগের তির এলাকার আরেক তৃণমূল নেতার দিকে।
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুব নেতার নাম অরিত্র ঘোষ। তাঁর সঙ্গে এলাকা দখল নিয়ে ঝামেলা চলছিল ও আরেক নেতার। তার জেরেই বৃহস্পতিবারের হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে অরিত্র বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেসময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলি লক্ষ্য়ভ্রষ্ট হলেও অরিত্র বাইক থেকে পড়ে যান। তখনই তাঁকে মারধর করা হয়। লোহার রডের আঘাতে অরিত্রর হাত, পা ভেঙে গিয়েছে। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় অরিত্রকে রথতলার কাছে এক নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: কপ্টার দুর্ঘটনার ধাক্কা সামলে কেমন আছেন? প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী]
অভিযোগের তির এলাকারই আরেক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং। তাঁর দলবলই অরিত্রর উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে শুয়ে অরিত্র তাঁর নামই বলেছেন। অরিত্র-জয়ন্তর সম্পর্ক বিশেষ ভাল ছিল না, সেই কারণেই তাঁর উপর এই হামলা চলেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল যুব নেতার। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে নার্সিংহোম সূত্রে খবর। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
[আরও পড়ুন: মণিপুরে পৌঁছতেই আটকে দেওয়া হল রাহুল গান্ধীর কনভয়, চপারে যাত্রা কংগ্রেস নেতার]
যুব নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ”হামলারকারী, আক্রান্ত সবাই তৃণমূল। এই ছেলেরা কেউ খারাপ না। কয়েকজন ঠিকাদারের জন্য এরা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এখানে যথেষ্ট নিরাপত্তারক্ষী ছিল। তবু কীভাবে গুলিচালনার ঘটনা ঘটল, তা দেখতে হবে। আর এখানে বেলঘরিয়া থানায় পুলিশ কর্তাদের ৪ বছর ধরে কোনও বদলি হয়নি।”