সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক মোদি ভক্ত অভিনব অভিযোগ জানালেন পুলিশে। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। বাড়িওয়ালার সঙ্গে সুসম্পর্কই ছিল এতদিন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি নিজের ঘরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ছবি টাঙাতেই গোলমাল শুরু হয়। এই কারণে বাড়িওয়ালা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন।
ওই মোদি ভক্ত ব্যক্তির নাম ইউসুফ (Yusuf)। তিনি ইন্দোরের (Indore) পির গলির একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। মঙ্গলবার শহরের পুলিশ কমিশনারের (Police Commissioner) অফিসে ‘জনতা ফোরামে’ (Public Forum) শুনানিতে গিয়ে অভিনব অভিযোগ জানিয়ে আসেন ইউসুফ। বলেন, তিনি মোদির আদর্শে অনুপ্রাণিত। সম্প্রতি নিজের ঘরে প্রধামন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির একটি ছবি টাঙিয়ে ছিলেন। বাড়িওয়ালা দুই ভাই ইয়াকুব মুনসুরি ও সুলতান মুনসুরির যা মোটেই পছন্দ হয়নি।
[আরও পড়ুন: প্রবল মানসিক চাপের জের? দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিতে গিয়ে অসুস্থ পড়ুয়া, হাসপাতালে মৃত্যু]
ইউসুফের অভিযোগ, মোদির ছবি সরিয়ে ফেলতে বলে বাড়িওয়ালারা। এই বিষয়ে তাঁর উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করা হয়। তাতেও সে ছবি না সরানোয় এবার তাঁকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এরপরেই বাধ্য হয়ে কমিশনারের অফিসের ‘জনতা ফোরামে অভিযোগ জানানোর কথা ভাবেন। এবং অভিযোগ জানান তিনি।
এই বিষয়ে ইন্দোরের অতিরিক্ত ডিসিপি মনিষা পাঠক (Additional DCP Manisha Pathak) জানিয়েছেন, ইউসুফের ঘটনা জানার পর সদর বাজার টিআই-কে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মনিষা বলেন, “জনতা ফোরামে শুনানির সময়ে ইউসুফ জানায়, বাড়িওয়ালা তাঁকে ঘরে মোদির ছবিতে টাঙাতে বাধা দিচ্ছে। যদিও সে একজন মোদি ভক্ত। এটা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ।”
[আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত কারণে ইডি অফিসে গেলেন না অভিষেক, চলতি সপ্তাহেই তলব সাংসদের স্ত্রী-শ্যালিকাকে]
উল্লেখ্য, ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে বহুদিন ধরেই জনপ্রিয়তায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে নরেন্দ্র মোদি। এমনকী বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ তিনি। স্বভাবতই মোদি ভক্ত ছড়িয়ে আছে গোটা দেশে। কলকাতার এক মোদি ভক্তকে ভোলা যায় না। মহম্মদ ইয়াকুব নামের ওই ফেড়িওলার মুখে সারাক্ষণ লেগে থাকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি। ফেড়ি করার ফাঁকে ফাঁকেই বলে ওঠেন, ‘ভারত মাতা কী জয়’। মোদির নামেও স্লোগান দেন। তাঁর কথায়, “আমি ভারতীয়। কবীরের দেশের মানুষ। ‘রামনাম’-এ সমস্যা কোথায়?”