সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর। শেষবার ভারতীয় দলের হয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh)। প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড (England)। কিন্তু তারপর থেকে আর সুযোগ পাননি টেস্টের প্রথম একাদশে। ওয়ানডে ম্যাচ খেললেও লাল বলের ক্রিকেটে তিনি ব্রাত্যই থেকেছেন। পরবর্তীতে ১০ জুন ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরই নিয়ে ফেলেন যুবি। কিন্তু অবসরের দু’বছর পরেও খুব বেশি টেস্ট না খেলতে পারার যেন আক্ষেপ ঝরে পড়ছে তাঁর কথায়। শুধু তাই নয়, নাম না করে বিসিসিআই (BCCI) তথা তৎকালীন নির্বাচকদেরও একহাত নিলেন বাঁ-হাতি এই অলরাউন্ডার।
কিন্তু কী এমন বলেছেন যুবি? আসলে সম্প্রতি উইজডেন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে একটি টুইট করা হয়। তাতে ছিল যুবরাজেরই ছবি। যেখানে কোনও একটি ম্যাচে শতরান করার পর ব্যাট আকাশে তুলে আনন্দ প্রকাশ করছেন তিনি। সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা, “কোন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আরও বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারতেন?” সেই টুইটের জবাবে যুবরাজ খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, “আশা করি আগামী জীবনে আরও বেশি টেস্ট খেলতে পারব। তখন হয়তো ৭ বছর ধরে আমাকে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে থাকতে হবে না।” আর তাঁর এই টুইট থেকেই পরিস্কার, টেস্টের প্রথম একাদশে জায়গা না পাওয়ার বিষয়টি কতটা তাড়া করে বেড়ায় যুবিকে!
[আরও পড়ুন: বঞ্চিত বাংলার কোচ, জিমন্যাস্ট প্রণতির সঙ্গে অলিম্পিকে যাওয়া হচ্ছে না মিনারার]
প্রসঙ্গত, টেস্ট কেরিয়ারে তেমন সাফল্য পাননি যুবরাজ। তবে অনেকেই মনে করেন, ওই সময় জাতীয় দলে শচীন, শেহওয়াগ, সৌরভ, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণদের মতো মহাতারকারা রয়েছেন। তাই প্রথমদিকে তিনি তেমন সুযোগ পাননি। পরবর্তীতে আবার ফিটনেস সমস্যাতেও পড়তে হয়েছে যুবিকে। যা তাঁর টেস্ট দলে সুযোগ না পাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। যদিও লাল বলের ক্রিকেটে সাফল্য না পেলেও, একসময় ভারতের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন যুবি। অনেক ম্যাচই একার কাঁধে বের করে এনেছেন তিনি। এমনকী গড়েছেন বেশ কিছু অনন্য নজিরও। তবে তাঁর সবচেয়ে ভাল পারফরম্যান্স বোধহয় ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ। ক্যানসার আক্রান্ত হয়েও ওই টুর্নামেন্টে দুরন্ত অলরাউন্ড পারফর্ম করেছিলেন যুবি। পরবর্তীতে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করেও ফের মাঠে প্রত্যাবর্তনও করেছিলেন তিনি।