সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্যোতিষশাস্ত্র বলে, ইচ্ছেপূরণের দিন ১১ নভেম্বর। এই দিন তৈরি হয় ঐশ্বরিক যোগ। সঠিক সময়ে, নিয়ম মেনে প্রার্থনা করলে এইদিনে নাকি যা চাওয়া যায় তাই মেলে। ব্যাপারটা ঠিক কী?
জ্যোতিষশাস্ত্রে ১১ সংখ্যাটিকে বলা হয় মাস্টার নম্বর। এই নম্বর নাকি উন্নতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত অর্থবহ। আর সেই ১১ তারিখ যদি হয় ১১ তম মাস অর্থাৎ নভেম্বরের, তাহলে তো কথাই নেই। কথিত আছে, ১১ নভেম্বর ঘড়ির কাঁটায় ১১ টা বেজে ১১ মিনিটে কিছু নিয়ম মেনে যদি কোনও প্রার্থনা করা হয়, তা নাকি পূরণ হয়। কিন্তু কী নিয়ম মানতে হবে? এক্ষেত্রে একাধিক জ্যোতিষের মত এক একরকম। কেউ বলেন, একটি কাগজে ১২ টি ইচ্ছে লিখে ফেলতে হবে। বাকিটা ছেড়ে দিতে হবে ইউনিভার্সের হাতে। তবে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূর করে দিতে হবে। সর্বদা ইতিবাচক ভাবুন, নিজেকে বলুন, 'আমি পারব, আমি পাচ্ছি, আমিই যথেষ্ট'।
কেউ কেউ আবার বলেন, এই দিনের ওই মাহেন্দ্রক্ষণে যদি একটি কাগজে মনের একটি ইচ্ছে লিখে মাথার পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন, তাও ফল দেয়। তবে সবক্ষেত্রেই চিন্তাভাবনা ইতিবাচক রাখা বাধ্যতামূলক। নেতিবাচক ভাবনা বা অন্যের খারাপ চাইলে চলবে না। তাহলেই নাকি আপনার মনস্কামনা পূরণে শামিল হবে মহাবিশ্ব। ভরসা রাখতে হবে, সঠিক সময়ে মনের ইচ্ছে পূরণ করে দেবে ইউনিভার্স। তবে শুধু এদিন নয়, জ্যোতিষশাস্ত্রে সবসময়ই ১১:১১ এর গুরুত্ব অনেক। বারবার যদি কেউ ঘড়ি দেখতে গেলেই ১১ টা বেজে ১১ মিনিট দেখতে পান, মনে করা হয় তাঁকে কোনও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে মহাবিশ্ব। হয়তো পূরণ হতে চলেছে দীর্ঘদিনের কোনও কামনা।
