সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজকাল অনেকেই কোষ্ঠী বিচারকে (Kundali Match) ভিত্তিহীন মনে করেন। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র অন্য কথা বলে। দাম্পত্য জীবনের সুখ-দুঃখের সঙ্গে গ্রহ-নক্ষত্রের গভীর যোগ রয়েছে। বিবাহে কুণ্ডলী মিলন তাই জরুরি। শুধু মনের মিল খোঁজাটাই যথেষ্ট নয়। দুটি মানুষের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তার পূর্বাভাস দেয় এই যোটক বিচার।
জ্যোতিষ মতে, এই বিচারের মূল ভিত্তি হল অষ্টকূট মিলন। এই আটটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে মোট ৩৬টি গুণ বিচার করা হয়। ৩৬ গুণের মধ্যে কমপক্ষে ১৮টি বা তার বেশি গুণ মিললে তবেই বিবাহের জন্য সম্মতি দেওয়া হয়। এই অষ্টকূটের মাধ্যমে বর ও কনের স্বাস্থ্য, স্বভাব, মানসিকতা ও অর্থনৈতিক স্থিতি বিচার করা হয়। নক্ষত্রের মিলন বা নক্ষত্রকূট এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
জ্যোতিষশাস্ত্রে সপ্তম ভাবকে বিবাহ ভাব বলা হয়। এই ভাবের অধিপতি গ্রহের অবস্থান দেখা হয়। এছাড়া, শুক্র (প্রেমের কারক গ্রহ) এবং বৃহস্পতি (শুভ কারক গ্রহ) জন্মছকে কোন অবস্থানে রয়েছে, তা বিচার করা হয়। এদের অনুকূল অবস্থান সুখী দাম্পত্য জীবনের ইঙ্গিত দেয়।
তাই শুধু পাত্র-পাত্রীর বাহ্যিক মিল যথেষ্ট নয়। প্রেম করেই হোক বা সম্বন্ধ করে, সুখী বিবাহিত জীবনের জন্য কুণ্ডলী (Kundali Match) মিলন আবশ্যক। এই বৈদিক পদ্ধতি অনুসরণ করে তবেই ছাঁদনাতলায় বসুন।
