জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: করোনা সংক্রমণের (Corona Pandemic) কথা মাথায় রেখে দুর্গা পুজোয় (Durga Puja) ঠাকুর দেখা থেকে শোভাযাত্রা–সবেতেই ছিল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) একাধিক বিধিনিষেধ। কিন্তু হাই কোর্টের সেই নির্দেশ অমান্য করে দুর্গা পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের হল বনগাঁয় (Bongaon)৷ যা নিয়েই দেখা দিল তীব্র চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা বেলায় কয়েকটি পুজোর উদ্যোক্তারা প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা করে বনগাঁ থানার ঘাটে আসে। শোভাযাত্রায় মহিলা থেকে পুরুষ– প্রায় প্রত্যেককেই নাচ করতে দেখা যায়। মহিলাদের মুখে ছিল সিঁদুর। প্রতিমা মণ্ডপ থেকে নামানোর আগেই তারা সিঁদুর খেলেছেন। বনগাঁ থানার মধ্যে দিয়ে বনগাঁ থানার ঘাটে যেতে হয়। সেই রাস্তা দিয়েই শোভাযাত্রা যায়।
[আরও পড়ুন: ডানকুনিতে বজরঙ্গবলির মূর্তি ভাঙাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য, অভিযুক্তর গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভ]
এদিন সন্ধ্যায় বিসর্জন উপলক্ষে থানার গেটের সামনেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। তাদের সামনেই শোভাযাত্রা করে প্রতিমা নিয়ে আসে কয়েকটি পুজোর উদ্যোক্তারা। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের আটকানোও হয়নি। পরে অবশ্য পুলিশ শোভাযাত্রা বন্ধ করে দেয়৷
তবে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। বনগাঁ শহরের বহু সচেতন মানুষের প্রশ্ন, গোটা এলাকায় ইতিমধ্যেই হু হু করে করোনার প্রকোপ ছড়িয়েছে। পুজোতে মন্ডপের মধ্যে ঢোকাও নিষেধ ছিল। তারপরেও এ ধরনের শোভাযাত্রার ফলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
[আরও পড়ুন: বিজয়ার পর ফের বোধন, অদ্ভুত কারণে নতুন করে দুর্গাপুজোয় মাতলেন জামুরিয়াবাসী]
এদিকে, দুর্গাপুজোর সময় আদালতের দেওয়া গাইডলাইন মেনেই এবার মা জগদ্ধাত্রীর (Jagadhatri Puja) আরাধনা হবে চন্দননগরে। সেখানেও জগদ্ধাত্রী পুজোয় দর্শনার্থীদের মণ্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ। মণ্ডপের দশ মিটার আগেই ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের। বুধবার চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির বৈঠকে তেমনই সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে ঠিক হয়েছে, এবছর রাজ্য সরকারের সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশাবলি এবং কলকাতা হাই কোর্টের দুর্গাপুজো (Durga Puja 2020) সম্পর্কীয় গাইডলাইন তথা নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করা যেতে পারে।