দিশা ইসলাম ও সঞ্জিত ঘোষ: ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (DGP) বা ডিজির ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে জালিয়াতির অভিযোগ। জানার পরই নড়েচড়ে বসল পুলিশ। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে শুরু করে তদন্ত। ইতিমধ্যে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের নাম ও ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিল এই প্রতারণা চক্র। তদন্তে নেমে রাজস্থান থেকে রাইস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। তাঁকে তিনদিনের ট্রানজিটে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফাঁস রুখতে মাস্টারস্ট্রোক, মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে থাকবে ‘স্বতন্ত্র কোড’]
কীভাবে চলত এই জালিয়াতি চক্র?
কমিশনারেট সূত্রে খবর, ডিজি মনোজ মালব্যের নাম, ছবি ও পরিচয় ভাঁড়িয়ে ফেসবুকে একটি অ্য়াকাউন্ট খুলেছিল অভিযুক্ত। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে পুলিশের বিভিন্ন পদস্থ কর্মীদের কাছে বন্ধুত্বের অনুরোধ যেত। সরল মনে অনেকেই তা গ্রহণ করত। এরপর শুরু হত জালিয়াতি কারবারি। অনেকেই ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পেতেন, “একটি জরুরি মিটিংয়ে রয়েছি। ফোন করতে পারছি না। একটি সমস্যায় পড়েছি। অনেক টাকার প্রয়োজন।” এই অজুহাতে অনেকের কাছ থেকে টাকা আদায় করত রাজস্থানের ওই যুবক। এক পুলিশ অফিসারের থেকে এমনই অভিযোগে নড়েচড়ে বসে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ।
চলতি বছরের আগস্ট মাসের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে গ্রেপ্তার হয় রাইস। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুধু এই রাজ্য নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারের নাম ও পরিচয় ভাঁড়িয়ে চলত জালিয়াতির কারবার। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, চক্রের পিছনে বড় গ্যাং রয়েছে। ধৃতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফিরহাদ হাকিমের সই জাল! আলিপুর জেল মিউজিয়ামে চাকরি দিতে গিয়ে শ্রীঘরে সরকারি কর্মী]
অন্যদিকে সিভিক পুলিশের চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ফুলিয়া ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছে প্রতারিত পরিবার। সূত্রের খবর, ফুলিয়া হসপিটাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা এক যুবককে গত ২৫ এপ্রিল সিভিক পুলিশের চাকরি দেবে বলে এক লক্ষ টাকা নেয় ফুলিয়া টাউনশিপ অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রভাত সরকার। অভিযোগ, টাকা নেওয়ার পরও দীর্ঘদিন কেটে গেলেও চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে ওই যুবক ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দেয় ওই তৃণমূল নেতা। আর এর পরই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত যুবকের পরিবার। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।