রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: বক্সা টাইগার রিজার্ভের (Buxa Tiger Reserve) ভেতরে হরিণ শিকারের ঘটনা। হরিণ মেরে তার মাংস দিয়ে মহাভোজের আয়োজন করেছিল চোরা শিকারিরা । কিন্তু মহাভোজ সম্পন্ন হয়নি। তার আগেই অভিযান চালায় বনদপ্তর। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে ধৃত ব্যক্তির নাম অভিরাম টপ্পো। তার বাড়ি শামুকতলা থানার কার্তিকা চাবাগানের ধোবি লাইনে। ধৃত ব্যক্তি একজন দিনমজুর। শনিবার রাতে বক্সা টাইগার রিজার্ভের পূর্ব বিভাগের জঙ্গলের ময়নাবাড়ি ফরেস্টে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বন দফতরের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাস্থলে থেকে হরিণের ২০ কেজি কাঁচা মাংস ও মাংস রান্নার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। কিভাবে হরিণটিকে মারা হয়েছে তার তদন্ত করছে বন দফতর। ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mullick)।
বনদপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে, ১০/১২ জনের একটি দল জঙ্গলে ঢুকে হরিণ শিকার করে। তার পর তারা ময়নাবাড়ি জঙ্গলের ভেতরেই হরিণের মাংস রান্না করার উদ্যোগ নেয়। বনকর্মীরা রুটিন টহলে বের হলে জঙ্গলের ভেতর মানুষের উপস্থিতি টের পান। এর পর অভিযান শুরু করতেই অন্যান্যরা পালিয়ে যান। গ্রেফতার হয় অভিরাম টপ্পো। জঙ্গলের ভেতর হরিণটিকে ঘিরে ধরে খুন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: INDIA’র প্রথম কো-অর্ডিনেশন বৈঠকের দিনই তলব! ইডি-র নোটিস অভিষেককে]
ধৃতকে রবিবার আলিপুরদুয়ার বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। বক্সা টাইগার রিজার্ভের নর্থ রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার শ্যামল মন্ডল বলেন, “একটি পূর্ণ বয়স্ক বার্কিং ডিয়ার মারা হয়েছে। আমরা এক চোরা শিকারিকে ধরেছি। অন্যান্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনাস্থল থেকে হরিণের মাংস ও মাংস রান্নার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।”
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে এই ঘটনা ঘটলে তার তদন্ত হবে। ধৃতের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে বনদপ্তর। হরিণটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টার মধ্যে আমি বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছি।”