সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরীতে (Puri) রথযাত্রা উৎসবে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এদিন বিকেল ৫টা ২০ নাগাদ নিয়ম মেনে মাসির বাড়ির উদ্দেশে জগন্নাথ দেবের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেই সময় কয়েক হাজার পুণ্যার্থী পবিত্র রথের রশি টানছিলেন। তখনই হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ভক্ত। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন।
রথ পুরীর গ্র্যান্ড রোডের বড় দন্ড এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বিপত্তি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভগবান বলভদ্রের রথের দড়ি ধরে টানার জন্য আচমকা হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তখনই পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। অস্বস্তিতে ভিড় থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন অনেকে। এর ফলে বিপদ আরও বেড়ে যায়। ঘটনায় বেশ কয়েক জন ভক্ত আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জনের ভিড়ের চাপে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নাচেই জগন্নাথ বন্দনা ডোনার, ইন্দ্রাণী হালদারের ভোগে থাকে রকমারি পদ]
৫৩ বছর পর বিরল যোগের কারণে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির দিন বিকেলে রথের রশিতে টান পড়েছে এবার। একই কারণে এবার দুই দিন ব্যাপি রথযাত্রা পুরীতে। আজ কিছু দূর গড়িয়েই থেমে গেল রথের চাকা। ফের কাল শুরু হবে যাত্রা। নিয়ম মতো জগন্নাথ, বলরাম বা বলভদ্র এবং সুভদ্রাদেবী মাসির বাড়ি গুণ্ডিচার উদ্দেশে রওনা হলেন।
[আরও পড়ুন: হার্দিক-নাতাশার বিচ্ছেদের জল্পনায় সিলমোহর! অভিনেত্রীর ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য]
প্রতিবার রথযাত্রায় যেমন আমজনতার ঢল নামে তেমনই ভিভিআইপি সমাগমও কম হয় না। তার মধ্যে থাকেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল প্রমুখ। ওড়িশায় এখন ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’। নবীন পট্টনায়কের বিজেডিকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। যথারীতি ওড়িশার নতুন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এবং রাজ্যপাল রঘুবর দাস উপস্থিত ছিলেন বচ্ছরকার জগন্নাথ পুজোয়। তার উপর রাষ্ট্রপতী দ্রৌপদী মুর্মুও (Draupadi Murmu) এবার হাজির হয়েছেন বঙ্গোপসাগর তীরের শহরে। চারদিনের ওড়িশা সফরের মধ্যে রবিবারটি তিনি দেবভূমেই কাটাচ্ছেন, জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ পেতে। এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কয়েক গুণ বাড়াতে হয়েছে। ঘুম ছুটেছে ওড়িশা পুলিশেরও। সব মিলিয়ে নীলাচলে ‘রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম’।