সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী সৌরভকে কেটে ১৫ টুকরো করে ড্রামে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে স্ত্রী মুসকান রাস্তোগিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই অপরাধে অভিযুক্ত তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্লাও। দু'জনই এখন জেলে। কিন্তু তাঁদের নিয়ে চর্চার শেষ নেই। নানা দাবি, তত্ত্ব উঠে আসছে। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মুসকানের মা কবিতা জানিয়ে দিলেন, যদি তাঁর মেয়ে দোষী সাব্যস্ত হয়, তাঁকে যেন কড়া শাস্তি দেওয়া হয়।

কিন্তু কেন এমন অপরাধে অভিযুক্ত তাঁর মেয়ে? এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর দাবি, একটা ভুলেরই হয়তো খেসারত দিতে হল জামাই সৌরভকে। কবিতার কথায়, ''আমরা মুসকানকে মোবাইল কিনে দিইনি। বিয়ের পরে সৌরভই ওকে ফোন ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এমনকী, সাহিলের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলাতেও আপত্তি করেনি। কেননা সাহিল আর মুসকান ক্লাসমেট ছিল। আর এটাই হয়তো ভুল হয়ে গিয়েছিল। এরপরই ওরা আরও কাছাকাছি চলে আসে। মুসকান বদসঙ্গে মিশতে শুরু করে এরপর থেকেই। সৌরভ বুঝতেও পারেনি ও কোনদিকে যাচ্ছে।'' কবিতার দাবি, সৌরভ মুসকানকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতেন। আর এই বিশ্বাসই হয়তো হয়ে দাঁড়াল তাঁর মৃত্যুর কারণ।
একই জেলের দুটি আলাদা ওয়ার্ডে রয়েছেন সাহিল ও মুসকান। মাঝে দেড় কিলোমিটারের দূরত্ব। জেলে প্রথম রাতে দু’জনেই নাকি নেশাদ্রব্যের অভাবে ছটফট করছেন। মুসকানের দাবি ইনজেকশন, সাহিল চাইছেন মারিজুয়ানা! দুই অভিযুক্তই ‘উইথড্রয়াল সিনড্রোমে’ ভুগছেন বলে দাবি জেল কর্তৃপক্ষের। তাঁদের চিকিৎসকের নজরদারি রাখা হয়েছে। শারীরিক অবস্থার যেন অবনতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। দু’জনের কারও পরিবারের সদস্যরাই জেলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি বলেও জানানো হয়। এদিকে জেলেও সাহিলের সঙ্গে একই কুঠুরিতে থাকতে চেয়ে আবেদন করেন মুসকান। যদিও সেই আর্জি নাকচ করে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।