নিজস্ব সংবাদদাতা ডোমকল: দফায়-দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত এক, জখম আরও একজন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধে পর্যন্ত তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএমের সংঘর্ষে ওই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের নজরানা গ্রামে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি কংগ্রেসের ওই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে স্ট্রোকে। তবে তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেসের আক্রমণে তাদের এক কর্মী জখম হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম এনামুল হক মণ্ডল (৬৫)। জখমের নাম বজলুর রহমান (২৮)। ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের তৈরি হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। পুলিশ জানায় পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: যাবে না চাকরি, বরং তৈরি হবে নতুন সুযোগ, কৃত্রিম মেধার প্রসার নিয়ে দাবি IBM কর্তার]
মৃতের স্ত্রী আলিয়া বিবি জানান, “আমার বাড়িতেই একটা দোকান আছে। সেখানে তৃণমূলের লোকেদের সঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের ছেলেদের সঙ্গে বচসা বাঁধে। পরে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় তৃণমূলের একজন জখম হয়। তার প্রতিশোধ নিতে তৃণমূলের লোকজন আমার স্বামীকে মারতে যায়। ভয়ে দৌড়ে পালাতে গেলে মাঠের মধ্যে ফেলে আমার স্বামীকে গলা টিপে খুন করেছে।” তৃণমূলের রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির দলনেতা মিজান হাসান জানান, “কংগ্রেসের ওই লোক স্ট্রোক হয়ে মারা গিয়েছেন। ময়নাতদন্ত হলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।” তিনি আরও জানান, “বরং কংগ্রেসের লোকজন আমাদের এক কর্মী বজলুর রহমানকে মেরে জখম করেছে।” তৃণমূলের দাবি, বজলুর রহমান বাড়ি থেকে সহায়তা শিবিরে আসছিলেন। তখন তাঁকে মারা হয়েছে।
এদিকে কংগ্রেসের রানিনগর ২ ব্লকের সভাপতি মমতাজ বেগম হীরা জানান, “নজরানা এলাকায় কিছু গণ্ডগোল হলেই তৃণমূলের লোকজন কংগ্রেসের নিরাপরাধ লোকেদের নামে মামলা করে। সেই নিয়ে এদিন সকালের দিকে একবার বচসা হয়েছিল। পরে বিকেলের দিকেও ওই ধিয়ে বচসায় সংঘর্ষ হয়। তখনই কংগ্রেসের এনামুলকে ওরা মারধর করে খুন করেছে।”