shono
Advertisement

এক টিকিটেই ট্রেন থেকে জাহাজ! অভিনব ভাবনা হাসিনা সরকারের

সংসদ অধিবেশন বয়কট, মানববন্ধন কর্মসূচি বিএনপি-র।
Posted: 02:52 PM Jan 30, 2019Updated: 02:52 PM Jan 30, 2019

সুকুমার সরকারঢাকা: একবারই টিকিট কাটবেন। সেই টিকিটেই রেল, সড়ক এবং নৌপথে যাতায়াত করা যাবে। চতুর্থবার সরকারে এসে এই ব্যবস্থা করতে চান  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আধিকারিকদের তিনি এনিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ  দিয়েছেন।  সাংবাদিক সম্মেলনে  দেশের পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রেল, সড়ক ও নৌ-পরিবহনের জন্য একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন। যেন এক টিকিটেই সবকিছুতে যাতায়াত করা যায়।’ 

Advertisement

উন্নত দেশে এরকম ব্যবস্থা চালু আছে। অদূর ভবিষ্যতে দেশের রেল যোগাযোগকে আধুনিকায়ন করার জন্য অবশিষ্ট মিটার গজ লাইনগুলিকেও ব্রডগেজে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে নতুন সরকার।  প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘রেলের দক্ষতা বাড়াতে বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, মডার্নাইজেশন, রিহ্যাবিলিটেশন, এক্সপ্যানশন) করতে হবে।  এর মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বাড়িয়ে রেলের প্রয়োজনীয় ছোট ছোট অংশগুলো নিজেদেরই তৈরি করতে হবে।’ বাংলাদেশের পরিবহণ কাঠামো উন্নতির জন্য এখন সব কিছুই আমদানি করতে হয়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রয়োজনীয় জনবল তৈরি  নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘তিন ফসলি জমি, চর ইত্যাদি যেন নষ্ট না হয়। জমিতে স্থাপত্য নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।এজন্য একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরি করবে ভূমি মন্ত্রণালয়।’ পরিকল্পনা মন্ত্রক সূত্রে খবর, মোট ন’টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে নতুন সরকার, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে  ১৬ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা। 

                                 এবার জলপথে যাওয়া যাবে বাংলাদেশ, মার্চেই শুরু ইন্দো-বাংলা নৌ পরিষেবা

এদিকে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগই দিলেন না বিএনপি-র সংসদ সদস্যরা। এদিনই আন্দোলনে নেমেছে দেশের প্রাক্তন শাসকদল বিএনপি। বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলের সদস্যরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। কদম ফোয়ারার মোড়, সচিবালয়মুখী সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে এই কর্মসূচি ঘিরে ছিল পুলিশি নিরাপত্তা। বেলা ১১টা নাগাদ মানববন্ধন কর্মসূচি শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই নেতাকর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন। নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং নতুন করে ভোটগ্রহণের দাবি জানানো হয়। ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির আট বিজয়ী প্রার্থী এখনো সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেননি। বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে চতুর্থ হাসিনা সরকার গঠিত সংসদের প্রথম অধিবেশন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement