সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ- উগ্র মুসলিমপন্থীদের সংঘর্ষে উত্তাল পাকিস্তানের (Pakistan) লাহোর, ইসলামাবাদ। লাহোরে (Lahore) ইতিমধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন পুলিশ কর্মীও রয়েছেন। গ্রেপ্তার অন্তত দু’হাজার কট্টরপন্থী মুসলিম। সবমিলিয়ে উত্তপ্ত ইসলামাবাদ।
একাধিক দাবিতে পথে নেমেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-লব্বায়িক পাকিস্তান (Tehreek-i-Labbaik Pakistan) বা টিএলপি সদস্যরা। দলের শীর্ষ নেতা সাদ হুসেন রিজভি জেলবন্দী। তার মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন টিএলপির সদস্যরা। পাশাপাশি, ইসলাম ধর্মের পরিপন্থী ক্যারিকেচার ইস্যুতে পাকিস্তান থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বিতাড়িত করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এই দুই দাবিতে শুক্রবার বিকেল থেকেই উত্তপ্ত লাহোর।
[আরও পড়ুন: আলিঙ্গন, চুম্বন, বিবাহিতদের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে কাঁচি! টিভি শো নিয়ে নয়া ফতোয়া পাকিস্তানে]
শনিবার লাহোর থেকে পদযাত্রা করে ইসলামাবাদ আসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন টিএলপি সদস্যরা। উদ্দেশ্য ছিল, নেতার মুক্তির দাবিতে ইসলামাবাদে ধরনা দেওয়া। মাঝপথেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। সেই সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই সংঘর্ষে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জন টিএলপি সদস্য। বাকি তিনজন পুলিশ কর্মী।
শনিবার রাতে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। টিএলপি নেতাদের দাবি, পুলিশের মারেই তাদের কর্মী-সমর্থকদের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দলীয় নেতা ইবন-ই-ইসমাইল জানান, “পুলিশের গুলিতে সাত টিএলপি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ২০০ জন।” তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অশান্তির আঁচ এখনও নেভেনি পাকিস্তানে।
[আরও পড়ুন: আফগানভূম থেকে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা নয়, ইসলামাবাদকে কথা দিল ‘বন্ধু’ তালিবান]
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার জানিয়েছেন, পুলিশ কর্মীদের হত্যার জন্য যারা দায়ী, তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না্। ইতিমধ্যে দু’হাজার টিএলপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানো, অপহরণ, খুন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক ধারায়া অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।