সুব্রত বিশ্বাস: দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ সামান্য নিম্নমুখী। এর মাঝেই ফের দূরপাল্লা ট্রেনের (Long Distance Trains) যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। দিল্লি, পাঞ্জাব ও মুম্বইগামী যে ট্রেনগুলি চলছে তাতে ওয়েটিং লিস্ট ক্রমশ লম্বা হচ্ছে। এই লম্বা তালিকা দেখেই জুনের মাঝামাঝি আরও দশটি দূরপাল্লার ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পূর্ব রেল।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের অপারেশন বিভাগ জানিয়েছে, পূর্বা এক্সপ্রেস, কালকা মেলে এখন ১০০ শতাংশ যাত্রী হচ্ছে। ওয়েটিং লিস্ট দীর্ঘ হওয়ায় স্পষ্ট হচ্ছে চাহিদা। তবে এখন রাজধানী এক্সপ্রেসে ৩০ শতাংশ যাত্রী হওয়ায় স্পষ্ট কম ভাড়ার প্রতি যাত্রীদের চাহিদা রয়েছে। ফলে সেই ধরনের যে ট্রেনগুলি কিছুদিন আগে বন্ধ হয়েছে তা আবার চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে ট্রেনগুলিতে রাজ্যের বেঁধে দেওয়া কোভিডবিধি কড়াকড়ি ভাবে মানতে হবে। যে রাজ্যগুলি আরটি-পিসিআর রিপোর্ট-সহ যাত্রা করতে বলেছে তা ঠিকঠাক মানতে হবে বলে রেল জানিয়েছে। তবে কোন রুটে বা কোন কোন ট্রেন চালানো হবে সে সম্পর্কে প্রকাশ্যে এখনও কিছু জানায়নি রেল কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বলি আরও ১, ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ]
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় ট্রেনগুলিতে যাত্রী সংখ্যা তলানিতে এসে পড়ায় ৫০টিরও বেশি ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছিল পূর্ব রেল। পরিস্থিতি কিছুটা ফেরায় ফের চাহিদা বাড়ায় আবার তা ক্রমান্বয়ে চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, অতিমারীর প্রকোপ ঠেকাতে ১৬ মে থেকে রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি হয়। যার পরই আশঙ্কা করা হয়েছিল, এমন পরিস্থিতিতে বাতিল হয়ে যেতে পারে বহু দূরপাল্লার ট্রেন। করোনার জেরে বাতিল করা হয় ১০টি দূরপাল্লার স্পেশ্যাল ট্রেন। ২০ মে থেকে শিলায়দহ-নিউ জলপাইগুড়ি স্পেশ্যাল এবং ২১ তারিখ নিউ জলপাইগুড়ি-শিয়ালদহ স্পেশ্যাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১৯ মে থেকে চলবে না শিয়ালদহ-পুরী স্পেশ্যাল। একইভাবে ২০ মে থেকে বন্ধ হয়েছে পুরী-শিয়ালদহ স্পেশ্যালও। কলকাতা-হলদিবাড়ি আপ ও ডাউন স্পেশ্যাল ট্রেনটিও বন্ধ হয়েছে ২০ মে থেকে। ২৪ মে থেকে কলকাতা-শিলঘাট স্পেশ্যাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়েছে। উলটোদিকে ২৫ মে থেকে শিলঘাট থেকে কলকাতাগামী স্পেশ্যাল ট্রেনও চলছে না।