সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোট ঘোষণার পরদিনই সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় স্বস্তির খবর পেল কেন্দ্র। মোদি সরকারের প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বিলে এখনই হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। প্রস্তাবিত এই সংরক্ষণ বিলে নিষাধাজ্ঞা জারি করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন জনৈক আইনজীবী। মামলকারী দাবি করেন, ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিল সংবিধানসম্মত নয়, তাই সাংবিধানিক বেঞ্চের মাধ্যমে তাদের আবেদন খতিয়ে দেখা হোক। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
[মোদি নন, প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুলকেই পছন্দ মুসলিম ও তফসিলিদের]
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষের আগের দিন উচ্চবর্ণ অথচ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের শিক্ষা এবং চাকরিতে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। বলা হয়েছিল, যাঁদের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার নিচে এবং কৃষিজমি ৫ একরের কম, তাঁরাই আসবেন এই সুবিধার আওতায়। এই সুবিধা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের কথাও বলা হয়েছিল। এর বিরোধিতায় মামলাকারীরা ১৯৯২ সালের মণ্ডল কমিশনের উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, এদেশে আর্থিক পরিস্থিতিই সংরক্ষণের একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না। কিন্তু কেন্দ্রের নতুন ঘোষণা পুরোপুরি আর্থিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে হয়েছে। ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণের ঘোষণা হলে, তা অসাংবিধানিক এবং এখনই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।’
[‘শহিদের রক্তে রাজনীতি’, বিজেপিকে বিঁধল শিব সেনা]
মামলাটি পুরোপুরি খারিজ করে দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। তবে, এখনই এই মামলায় সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আপাতত বিলটিকে আটকে দেওয়ার পক্ষে নয় শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ মার্চ। সেদিনই ঠিক হবে, দশ শতাংশ সংরক্ষণ বিল সংক্রান্ত মামলাটি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হবে কি না।লোকসভার আগে এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্রের স্বস্তি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কারণ, এই বিলটি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হলে লোকসভার আগে তা লাগু করা সম্ভব হত না।
The post ভোটের আগে স্বস্তি কেন্দ্রের, উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ বিলে হস্তক্ষেপে ‘না’ সুপ্রিম কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.