সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৬ দিন ধরে চলে আসা কৃষক বিক্ষোভ সরকারের ভাবমূর্তিকে যথেষ্ট ধাক্কা দিয়েছে। আগামী বছর পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে যা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই নতুন কৃষি আইন (Farm Laws) বোঝাতে এখন থেকেই আসরে নামছে গেরুয়া শিবির। ছকে ফেলা হয়েছে মেগা পরিকল্পনা। যাতে কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করা হবে, কেন্দ্রের পাশ করানো বিতর্কিত তিনটি আইন আসলে তাদেরই স্বার্থরক্ষা করছে।
দিল্লির কৃষক বিক্ষোভ (Farmers Protest) নিয়ে কৃষক সংঠনগুলির সঙ্গে ইতিমধ্যেই ৬ দফা বৈঠক সেরে ফেলেছেন
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কৃষকদের ডেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। কৃষক সংঠনগুলি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড়। উলটে সরকার কথা না শুনলে রেল রোকোর মতো বৃহত্তর আন্দলোনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা। তাঁদের একটি সংগঠন ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনার রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছেন কৃষকরা। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে সহজে সমস্যা মেটার নয়। এদিন আরও একবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar) কৃষকদের আন্দোলন ছেড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিন কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সরকার কৃষকদের যে কোনও প্রস্তাব শুনতে রাজি। সরকারের তরফে আলোচনায় কোনও বাধা নেই। কিন্তু কৃষকদের তরফে কোনও সাড়া আমরা পাইনি। ওঁরা আইন বাতিলের দাবিতে অনড়। আমি কৃষক সংগঠনগুলিকে অনুরোধ করব, আপনারা সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে আন্দোলন প্রত্যাহার করুন। এবং আলোচনায় বসুন। আপনাদের সব শর্ত মানতে সরকার প্রস্তুত।”
[আর পড়ুন: কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে কৃষকরা, পালটা মহামারী আইনে মামলা দিল্লি পুলিশের]
কৃষকদের ফের আলোচনায় ডাকার পাশাপাশি এই আন্দোলনে যাতে দেশের অন্যান্য প্রান্তের কৃষকরা প্রভাবিত না হোন তা নিশ্চিত করার জন্য পৃথক পরিকল্পনায় কাজ শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। শুক্রবার থেকেই দেশের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় কৃষকদের এই আইন বোঝানোর জন্য সভা করবে বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই আইনের পক্ষে প্রচার শুরু হয়েছে। এরপর দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতারা শতাধিক সাংবাদিক বৈঠকও করবেন। বোঝানোর চেষ্টা করা হবে, আন্দোলনকারী কৃষকরা আসলে বিরোধীদের দ্বারা প্ররোচিত হচ্ছেন। যাতে আন্দোলন ভোঁতা করা যায়।