সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবলা প্রাণীর উপর নির্মম অত্যাচার। ১ হাজার কুকুরকে দিনের পর দিন খেতে না দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) বাসিন্দা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। আদালতে উঠছে মামলা। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রৌঢ়। ওই ব্যক্তির কাছে এতগুলি কুকুর এলো কোথা থেকে?
জানা গিয়েছে, ব্রিডাররা অর্থের বিনিময়ে ওই ব্যক্তিকে ‘পরিত্যক্ত’ কুকুর দেখভাল করতে দিতেন। সেই সব কুকুরের দায়িত্ব নিতেন ৬০ বছরের ওই প্রৌঢ়, যেগুলির প্রজননের বয়স ডিঙিয়েছে, ফলে বাণিজ্যিক মূল্যও ফুরিয়েছে। এই ধরনের একটি কুকুরকে দেখভালের জন্য ওই ব্যক্তিকে ১০ হাজার দক্ষিণ কোরিয়ান মুদ্রা দিত ব্রিডার সংস্থাগুলি। যদিও প্রকাশ্যে এসেছে, পরিত্যক্ত কুকুরগুলির কোনওরকম দেখভাল করতেন না ওই ব্যক্তি। সঙ্কীর্ণ খাঁচায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আটকে রাখা হত তাদের। খাবারটুকুও দেওয়া হত না। এর ফলেই একটানা অভুক্ত থেকে মৃত্যু হয় ১ হাজার কুকুরের।
[আরও পড়ুন: নারী দিবসে এয়ার ইন্ডিয়ার ৯০টি বিমানে শুধু মহিলা কর্মী, বিশেষ সম্মান মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরও]
দক্ষিণ কোরিয়ার গেয়ংগি প্রদেশের ইয়াংপিয়ং-এ ঘটেছে নির্মম ঘটনাটি। এক ব্যক্তির পোষ্য হারানোয় সেটির সন্ধানে তল্লাশি চালাতেই নারকীয় পরিস্থিতিতে থাকা সারমেয়গুলিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ ও পশুপ্রেমীরা। ১ হাজারটি মৃত কুকুর ছাড়াও ৪টি গুরুতর অসুস্থ কুকুরও উদ্ধার হয়। যারা খাবারহীন অবস্থায় খাঁচাবন্দি থেকেও কোনওভাবে বেঁচে যায়।
[আরও পড়ুন: নারী দিবসে ইতিহাস, প্রথম মহিলা হিসাবে বায়ুসেনা ইউনিটের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন শৈলজা]
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার পশু আইন রীতিমতো আইন কঠোর। সেখানে প্রাণীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৩০ মিলিয়ন স্থানীয় মুদ্রা জরিমানা হতে পারে। ১ হাজার কুকুর হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আরও বড় তথা কঠিন সাজা দেওয়া হোক, আবেদন করেছেন পশুপ্রেমীরা।