সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশ্রয়ের খোঁজে হন্য হয়ে ঘুরছেন বহু মানুষ । তাঁদের সঙ্গে রয়েছে বহু শিশুও। পরিবারের সঙ্গে পথেঘাটে না খেয়ে, না ঘুমিয়ে দিনযাপন করছে তারাও। এই দৃশ্য কোনও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশের নয়। অর্থ, বৈভব, প্রযুক্তি সব দিক থেকে শক্তিশালী আমেরিকার। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি?
এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরেই গৃহহীনের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লক্ষ। কারণ সেখানে ক্রমেই বেড়ে চলছে শরণার্থীর সংখ্যা। সকলেই মাথা গোজার ঠাঁই ও দু’মুঠো খাবারের আশায় ভিড় করছেন এই শহরে। যেখানে বৈভব ও প্রাচুর্যের কোনও অভাব নেই। কিন্তু এই দেশই আশ্রয়হীনদের আশ্রয় দিতে ব্যর্থ। গৃহহীনদের জন্য তৈরি শিবিরেও জায়গা নেই।
[আরও পড়ুন: তিনদিন ধরে জ্বলছে ফ্রান্স, নিহতের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর]
রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২ সাল থেকে প্রচুর সংখ্যায় মানুষ নিউ ইয়র্কে এসেছেন। ইতিমধ্যেই একশো কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ খরচ করে ফেলেছে শহরের প্রশাসন। অনুমান করা হচ্ছে আগামী বছরের মধ্যে আরও প্রায় চারশো কোটি ডলার খরচ হবে। ২০২২-এর মার্চ ও নভেম্বর মাসের মধ্যে যত জন মানুষ এসেছেন তাঁদের মধ্যে মাত্র তিনজন স্থায়ী বাসস্থান পেয়েছেন। ৯৫ শতাংশ মানুষ এখনও আশ্রয়হীন। নিউ ইয়র্কের মতোই অবস্থা লস অ্যাঞ্জেলসেরও। সেখানকার পরিসংখ্যানও যথেষ্ট উদ্বেগের।
এই শরণার্থী কিংবা গৃহহীনদের ভবিষ্যৎ এখন বড় প্রশ্নের মুখে। ভবিষ্যৎ অন্ধকার আশ্রয়ের খোঁজে আসা হাজার হাজার শিশুরও। কিন্তু এই পরিস্থিতি কত দিন চলবে তার কোনও উত্তর নেই প্রশাসনের কাছে। মার্কিন সরকার কার্যত হিমশিম খাচ্ছে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে। অনেকেই বলছেন, এই সরকারই কোটি কোটি টাকা খরচ করছে অন্য দেশকে যুদ্ধে সাহায্য করতে।