সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজার (Gaza) ত্রাণ বিলি কেন্দ্রে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল ইজরায়েলি সেনা। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৭০০ জন। গোটা ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে তীব্র নিন্দা করেছে প্যালেস্টাইন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় একমাত্র আশার আলো নানা পক্ষের পাঠানো ত্রাণ। মাঝে মাঝেই ট্রাক বোঝাই ত্রাণ এসে পৌঁছয় আমজনতার কাছে। রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ট্রাক থেকে খাবার সংগ্রহের জন্য। বৃহস্পতিবার সেরকমই একটি ট্রাক পৌঁছয় গাজার পশ্চিমে নাবুলসি এলাকায়। অন্তত কয়েক হাজার মানুষ সেখানে ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই আমজনতাকে লক্ষ্য করে লাগাতার গুলি চালাতে থাকে ইজরায়েলি (Israel) সেনা। গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, গুলিবৃষ্টিতে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৭০০রও বেশি।
[আরও পড়ুন: ঢাকার সাততলা বাড়িতে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে মৃত অন্তত ৪৪]
গুলি চালানোর ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন। কেন আচমকা গুলি চালাল ইজরায়েলি সেনা? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্তার কথায়, ত্রাণ বোঝাই ট্রাকটি সেনা ট্যাঙ্কের খুব কাছে এসে গিয়েছিল। তাই বিশাল মানুষের ভিড় দেখে ভয় পেয়েছিলেন সেনাকর্মীরা। আত্মরক্ষা করতেই বাধ্য হয়ে গুলি চালিয়েছে ইজরায়েলি ফৌজ। যদিও প্রাথমিকভাবে ইজরায়েলের দাবি ছিল, ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি করে ত্রাণ নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়েছিলেন গাজার আমজনতা। তবে সরকারিভাবে এই ঘটনা নিয়ে ইজরায়েলের তরফে কিছুই জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধের শুরু থেকেই ইজরায়েল বারবার দাবি করে আসছে যে গাজার আমজনতার উপরে আক্রমণ চালানো তাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে এদিন নিরস্ত্র মানুষের উপরেই গুলি চলেছে। এই ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেছে গাজার প্রশাসন। আপাতত ১০৪ জনের মৃত্যুর খবর এলেও এই সংখ্যাটা বাড়বে বলেই অনুমান। গাজার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, গুরুতর আহত অবস্থায় বহু মানুষকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো নেই। ফলে আরও মানুষ চিকিৎসা না পেয়েই প্রাণ হারাতে পারেন।