সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি (Terrorist) ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) ১১ জন সরকারি কর্মীকে (Govt Employees) বরখাস্ত করল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন। ভারতীয় সংবিধানের ৩১১(২)(সি) ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তকারী কমিটি তাদের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বৈঠকে যথাক্রমে ৩ ও ৮ জনকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁদের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদী সালাউদ্দিনের দুই ছেলের চাকরিও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
সূত্রানুসারে, বরখাস্ত হওয়া ১১ জন কর্মীর মধ্যে ৪ জন অনন্তনাগ ও ৩ জন বদগামের বাসিন্দা। এছাড়া বাকিরা শ্রীনগর, পুলওয়ামা ও কুপওয়ারার বাসিন্দা। অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জন শিক্ষা বিভাগে ও ২ জন জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ বিভাগে কর্মরত। বাকিরা কৃষি, বিদ্যুৎ প্রভূতি বিভাগে কাজ করতেন।
[আরও পড়ুন: আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত, COVAXIN-কে ছাড়পত্র দিতে পারে WHO]
অভিযুক্তদের সকলের বিরুদ্ধে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ রয়েছে। অন্যতম অভিযুক্ত একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নিয়মিত লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীকে নিয়মিত খবর সরবরাহ করতেন। কেবল খবর দেওয়াই নয়, ওই ব্যক্তি নিয়মিত নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে নজরদারি চালাতেন। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ব্যাপারে উসকানি দিতেন। এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের দুই পুলিশকর্মীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশ বাহিনীর ভিতরের খবর তাঁরা নিয়মিত সরবরাহ করতেন। কেবল সেটুকুই নয়। একজনের বিরুদ্ধে সরাসরি নিরাপত্তা কর্মীদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগও রয়েছে।
এছাড়াও জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা সইদ সালাউদ্দিনের দুই ছেলেকেও চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভার ৯০ শতাংশ মন্ত্রীই কোটিপতি, ৪২ শতাংশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা!]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় সেনা। তিন জায়গায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ হয়। তাতেই নিকেশ ৬ জঙ্গি। এর মধ্যে চারজন স্থানীয় এবং দু’জন পাক জঙ্গিও রয়েছে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রুখতে মরিয়া প্রশাসন। তার মধ্যেই মিলব ‘সরষের মধ্যে ভূত’-এর সন্ধান।