অর্ণব আইচ: তারাতলার আইটি পার্কে অফিস ভাড়া নিয়ে চলছিল ভুয়ো কল সেন্টার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তদন্ত চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। এর আগে কয়েকদিনের মধ্যেই পূর্ব কলকাতার বিভিন্ন এলাকা ও সল্টলেক থেকে ভুয়া কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৩ জন।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লালবাজারের (Lalabazar) গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা তারাতলার একটি নামী আইটি পার্কে হানা দেন। দেখা যায়, বহুতলটির চারতলায় একটি ঘর ভাড়া নিয়েছে জালিয়াতির অভিযুক্তরা। সেখান থেকেই চলছে তাদের অপারেশন। কলকাতায় বসে তারা মূলত ব্রিটেনের বাসিন্দাদের ফোন করত। নিজেদের একটি বহুজাতিক সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দিত। একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হত সকলকে। এরপর হঠাৎ তাঁদের মনিটরের স্ক্রিন সাদা অথবা কালো হয়ে যায়। কলকাতায় বসে ওই বিদেশিদের জানান বলা হয়, তাঁদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ভাইরাস আক্রান্ত। একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে পাউন্ড পাঠালে কম্পিউটার সারিয়ে দেওয়া হবে। ওই পরিস্থিতিতে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বাধ্য হন বিদেশিরা।
[আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: NHRC’র সদস্যরা BJP ঘনিষ্ঠ, হাই কোর্টে দেওয়া হলফনামায় দাবি রাজ্যের]
তদন্তে নেমে ওই ভুয়ো কল সেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে কম্পিউটার ও অন্যান্য বৈদু্যতিন যন্ত্র পুলিশ উদ্ধার করে। মহম্মদ তসফিন, মহম্মদ আলি, মিরজা রিয়াজ, কাশিফ হাসান, আরবাজ, শেখ জসিম, বাবলু প্রসাদ, তৌসিফ আলি, মহম্মদ শহবাজ, শাহিদ আফ্রিদি ও অভিজিৎ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে একজন আইটি বিশেষজ্ঞ। মঙ্গলবার তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের জেরা করে আরও ভুয়া কল সেন্টারের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।