সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক নাবালিকাকে ধর্ষণের পর ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার সাফিপুর থানা এলাকায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
[আরও পড়ুন- তিন বছরে আত্মঘাতী ১২ হাজার কৃষক, বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে করুণ ছবি]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বাড়ির বাইরের উঠোনে শুয়েছিল ১১ বছরের মেয়েটি। কিন্তু, মাঝরাতে তার বাবা ঘুম থেকে উঠে মেয়েটিকে আর খুঁজে পাননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রথমে আমি ভেবেছিলাম ও হয়তো কাছে কোথায় বাথরুম করতে গিয়েছে। কিন্তু, অনেকক্ষণ পরেও বাড়ি না ফেরায় আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি প্রতিবেশীদেরও বিষয়টি জানাই। এরপর সবাই মিলে খুঁজতে শুরু করি। কিছু দূরে যাওয়ার পর একটি ফলের বাগানে আমার মেয়ের নগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখি। ওর মাথাটা ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকাটি শুক্রবার রাতে বাড়ির লোকদের সঙ্গেই শুয়েছিল। কিন্তু, আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে একটি ফলের বাগানে তার নগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা। উদ্ধার হওয়ার পর নাবালিকাটির গলায় ও গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাকে যাতে চেনা না যায় তাই ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন- পরিকাঠামো উন্নয়নই সার, ক্রমবর্ধমান রেল দুর্ঘটনার খতিয়ান পেশ মন্ত্রীর]
এপ্রসঙ্গে উন্নাওয়ের পুলিশ সুপার এমপি ভার্মা জানান, পকসো আইন অনুযায়ী ধর্ষণ ও খুনের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই নাবালিকার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি তদন্তের জন্য একটি দলও গঠন করা হয়েছে।
The post নাবালিকাকে ধর্ষণের পর ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন, নৃশংসতার সাক্ষী উত্তরপ্রদেশ appeared first on Sangbad Pratidin.