সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মাঝআকাশে এয়ার টারব্যুলেন্সের কবলে বিমান। ভয়ংকর ঝাঁকুনির জেরে আহত হল ১২ যাত্রী। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে দোহা থেকে আয়ারল্যান্ডগামী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে। যদিও শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই গন্তব্যে পৌঁছয় বিমানটি। তবে ফের এই ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন বিমানবন্দরের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বুধবার দুপুরে দোহা থেকে যাত্রা শুরু করে QR017 বিমানটি। ৬ জন ক্রু সদস্য-সহ বিমানে যাত্রী ছিলেন মোট ১২ জন। তুরস্কের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় টারব্যুলেন্সের কবলে পড়ে বিমানটি। কাতার এয়ারওয়েজের (Qatar Airways) তরফে বিবৃতিতে দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রবল ঝাঁকুনির জেরে ১২ জন যাত্রীই কমবেশি আহত হয়েছেন। খবর পেয়েই বিমানবন্দরে যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয় ডাবলিন বিমানবন্দরের তরফে। অবতরণের পর সব যাত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোট চলাকালীনই বাড়ল সেনাপ্রধানের মেয়াদ]
উল্লেখ্য, দিন পাঁচেক আগে ঠিক একই ঘটনার সম্মুখিন হয়েছিল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের (Singapore Airlines) লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী বিমান। যার জেরে মৃত্যু হয় ৭৩ বছর বয়সি এক ব্রিটিশ নাগরিকের। আহত হন আরও ৩০ জন। ব্যাঙ্কক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয়। ওই উড়ানে ছিলেন ২১১ জন যাত্রী এবং ১৮ জন বিমানকর্মী। পর পর এহেন দুর্ঘটনা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বিমান যাত্রার।
[আরও পড়ুন: ‘মোদি আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন’, মঞ্চে সগর্বে ঘোষণা নীতীশের, নয়া ছক?]
এই ধরনের ঘটনায় আবহাওয়াবিদদের দাবি, ৪ দশক আগে বিমান যাত্রায় এই ধরনের ঝুঁকি যতখানি ছিল আজ তার চেয়ে বহুগুন বেড়েছে। যার অন্যতম কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ণ। ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।